আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ডিমকে সুষম খাদ্যের তালিকায় রাখা হয়। কারণ ডিমে থাকে ভরপুর পুষ্টিগুণ। কিন্তু ঠিক কীভাবে রান্না করলে ডিমের সব অংশ সমান ভাবে সেদ্ধ হয়? সম্প্রতি বিজ্ঞানপত্রিকা ‘কমিউনিকেশনস ইঞ্জিনিয়ারিং’- এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে কয়েকজন বিজ্ঞানী দাবি করলেন, ডিম সেদ্ধ করার সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি ‘পিরিয়ডিক কুকিং’। এই পদ্ধতিতে ডিমকে নির্দিষ্ট সময় পরপর গরম জলে ডুবিয়ে রাখা হয়। তার পর ঠান্ডা জলে কিছুক্ষণ রেখে ফের গরম জলে দেওয়া হয়। এর ফলে ডিমের ভিতরের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। বিজ্ঞানীদের যুক্তি এর ফলে ডিমের সব অংশ সমানভাবে সেদ্ধ হয় এবং পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।
পিরিয়ডিক কুকিংয়ের মাধ্যমে ডিম সেদ্ধ করার বেশ কিছু সুবিধা যেমন রয়েছে, তেমনই এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। দেখে নেওয়া যাক-
পিরিয়ডিক কুকিংয়ের সুবিধা:
* ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম সমানভাবে সেদ্ধ হয়। অনেক সময় অনভিজ্ঞ কেউ ডিম সেদ্ধ করতে গেলে ডিমের সাদা অংশ বেশি শক্ত এবং কুসুম নরম থেকে যায়, যা অনেকে পছন্দ করেন না।
* ডিমের খোসা সহজে ছাড়ানো যায়। ডিম সেদ্ধ হওয়ার পর ঠান্ডা জলে কিছুক্ষণ রাখলে খোসা সহজে ছাড়ানো যায়।
* ডিমের খাদ্যগুণ বজায় থাকে। বেশি তাপে ডিম সেদ্ধ করলে কিছু খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তবে পিরিয়ডিক কুকিংয়ে ডিম কম তাপে ধীরে ধীরে সেদ্ধ হওয়ায় খাদ্যগুণ বজায় থাকে।
পিরিয়ডিক কুকিংয়ের অসুবিধা:
* এই পদ্ধতিতে ডিম সেদ্ধ করতে তুলনামূলকভাবে বেশি সময় লাগে।
* সব ধরনের ডিমের জন্য এই পদ্ধতি উপযুক্ত নয়। কিছু ডিমের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ভাল ফল নাও দিতে পারে।
