আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেম কী বুঝিনি, আগে তো খুঁজিনি... বাংলা সিনেমার এই গানের সংলাপ বেশ বিখ্যত। এককালে সকলের মুখে মুখে ঘুরত এই গান। ভালবাসার মরসুমে প্রেম কখন কোথা দিয়ে আসবে কেউ জানেন না। অফিসে কোনও সহকর্মীকে ভাল লেগে যাওয়া কিংবা পথচলতি কাউকে এক নজরে দেখে প্রেমে পড়ে যাওয়া, এসব গল্প আমরা প্রায়শই শুনতে পাই। ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠা তো অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু ব্যাঙ্কের ঋণের টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে যদি প্রেম হয়ে যায় তখন?
সেরকমই একটি গল্প সামনে এল বিহারে। জামুই জেলায় ঋণের টাকা উদ্ধার করতে ব্যাঙ্কের লোন রিকভারি এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন পবন কুমার। কাজের সূত্রেই গ্রামেরই বাসিন্দা উপেন্দ্র যাদবের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানেই আলাপ হয় উপেন্দ্র সুন্দরী স্ত্রী ইন্দিরা কুমারীর সঙ্গে। এর পরেও বেশ কয়েক বার ইন্দিরাদের বাড়িতে কাজের সূত্রেই আসেন পবন। ক্রমে ইন্দিরার মনে পবনের জন্য আলাদ জায়গা তৈরি হয়। ধীরে ধীরে ফোনে কথা বলা শুরু হয় এবং প্রেম আরও গাঢ় হয়। একটা সময় স্বামীকে ছেড়ে পবনের সঙ্গেই ঘর করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন ইন্দিরা।
जमुई -शराबी पति से परेशान महिला को लोन देने वाले बैंक कर्मी से हो गया प्यार। जिसके बाद वो पति को छोड़कर प्रेमी के साथ फरार हो गयी। मंदिर में जाकर दोनों ने रचा ली शादी.#Bihar #BiharNews #Jamui pic.twitter.com/HauQ2dRdLF
— FirstBiharJharkhand (@firstbiharnews)Tweet by @firstbiharnews
যেমন ভাবনা তেমনই কাজ। মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ ত্রিপুরারি ঘাট সংলগ্ন ভূতনাথ মন্দিরে হিন্দু মতে বিয়ে সেরেছেন ইন্দিরা এবং পবন। উপস্থিত ছিলেন গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দাও। ইন্দিরা জানিয়েছেন, দেড় বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। সংসারে প্রতিনিয়ত ঝগড়া লেগেই থাকত। স্বামী নিয়মিত মদ্যপান করে তাঁকে প্রায়দিন মারধরও করতেন। গার্হস্থ্য হিংসায় তিতিবিরক্ত ইন্দিরা পবনের কাছেই শান্তি খুঁজে পান। এরপরেই দু'জনে একসঙ্গে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
