নিজস্ব সংবাদদাতা: ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন সরব হয়েছিল টলিপাড়া। ঠিক সেই সময় এনএবিসি-এর প্রতিযোগিতামূলক বিভাগে সেরা ছবির পুরস্কার পেয়ে নজির গড়েছিল অভিজিৎ চৌধুরীর ছবি 'ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন'।
গত ডিসেম্বরে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে 'বেঙ্গলি প্যানোরমা' বিভাগে শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে ছবিটি।
ছবির পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরীর কথায়, "আমাদের মধ্যবিত্ত জীবন প্রায়ই একটা প্রশ্নের সামনে এসে দাঁড়ায় - আদর্শ আঁকড়ে থাকা না সময়ের সঙ্গে এগিয়ে চলা? এই প্রশ্নের উত্তর দেবে ছবিটি। 'ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন'-এ জীবনের চারটি অধ্যায়ের গল্প বলা হয়েছে। চারটে অধ্যায়ে যামিনী রায়, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিকাশ ভট্টাচার্য , বিনোদ বিহারী মুখার্জ্জির মতো চারজন কিংবদন্তি বাঙালি শিল্পীকে সম্মান জানানো হয়েছে।"
ছবির মুখ্য চরিত্রে অর্থাৎ নাম ভূমিকায় রয়েছেন অভিনেতা ঋষভ বসু। এছাড়াও ছবিতে কোরক সামন্ত, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিকা পাল, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, যুধাজিৎ সরকার, বাদশা মৈত্র, আনন্দরূপা চক্রবর্তী, সেঁজুতি মুখোপাধ্যায়, প্রেরণা দাসকে দেখা যাচ্ছে। চিত্রনাট্য এবং পরিচালনা দুইয়ের দায়িত্বই ছিল অভিজিৎ চৌধুরীর।
গল্প এগোয় 'ধ্রুব'র জীবনে ঘটে চলা কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এই ছবিতে বাংলার নবজাগরণের সঙ্গে যুক্ত চার জন চিত্রশিল্পীর আঁকা ছবির যোগসূত্র রয়েছে। সেই যোগসূত্র ধরে এগোয় চিত্রশিল্পী 'ধ্রুব'। জীবনের কিছু সিদ্ধান্ত ওলোটপালট করে দেয় পরিস্থিতি। ছবি প্রসঙ্গে আজকাল ডট ইন-কে ঋষভ বসু বলেন, "ছবিটি আমার খুব কাছের। এমন একটা গল্প যা দর্শকের কাছে পৌঁছে যাওয়া খুব জরুরি। এনএবিসি-তে ছবিটি তিনটি বিভাগে সেরার সেরা পুরস্কার পেয়েছে। সেরা ছবি, সেরা চিত্রনাট্য ও সেরা অভিনেতার পুরস্কার আমি পেয়েছি।"
কোরক সামন্তের কথায়, "ছবিতে আমার চরিত্রটি 'ধ্রুব'র একজন খুব কাছের বন্ধুর। এই গল্পে একটা রসদ রয়েছে যা একটু অন্যরকম। আশা করি দর্শকের কাছে পৌঁছতে পারলে খুব ভাল প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাবে।"
প্রসঙ্গত, অভিজিৎ চৌধুরীকে এর আগে 'মান ভঞ্জন', 'টুরু লাভ'-এর মতো ছবির পরিচালনায় দেখা গিয়েছে। ফোর্থ ফ্লোর এন্টারটেনমেন্ট ও কনসেপ্ট কিউবের ব্যানারে ২৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তির পরিকল্পনায় রয়েছে 'ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন'। ছবিটি নিবেদন করছেন পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী।
