মিল্টন সেন: বোনের হয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা গিয়ে শেষ রক্ষা হলনা। হাতেনাতে ধরা পড়লেন ওই পরীক্ষার্থীর দিদি। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে চণ্ডীতলা থানার অন্তর্গত গরলগাছা গার্লস হাইস্কুলে। জানা গিয়েছে, পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এক পরীক্ষার্থীকে দেখে সন্দেহ হয় পরীক্ষকদের। অ্যাডমিট কার্ডের ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর মুখের অমিল থাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রকাশ্যে আসে আসল সত্য।
 
জানা গিয়েছে, কুমিরমোরা আর কে এন হাইস্কুলের এক ছাত্রীর হয়ে এদিন মাধ্যমিকের প্রথম ভাষার পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন পরীক্ষার্থীর দিদি। ধরা পড়তেই হলে কর্মরত পর্যবেক্ষক খবর দেন স্থানীয় থানায়। তাঁকে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের করে নিয়ে যায় চণ্ডীতলা থানার পুলিশ। মাধ্যমিক পরীক্ষার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৌশিক শীল চন্ডীতলা থানায় এসে বলেন, ‘গরলগাছা গার্লস হাইস্কুলে পরীক্ষা ছিল কুমির মোরার আর কে এন হাই স্কুলের ছাত্রীদের।
 
সেখানেই এক ছাত্রীর হয়ে তাঁর দিদি পরীক্ষা দিতে ঢুকে পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদে আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকদের জানানো হয় ওই স্কুলের তরফে। সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি গোটা বিষয়টি সামনে আসায় বাড়াবাড়ি কোনও ঘটনা ঘটেনি। একইসঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সূত্রে খবর, শিক্ষা দপ্তর থেকে নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।