আজকাল ওয়েবডেস্ক: দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম না বোঝা লোকের অভাব নেই। পান, গুটখা, খৈনির মতো হরেক রকমের নেশা দাঁতের সবচেয়ে বড় শত্রু। এই ধরনের খাবার দাঁতের সাদা ভাব কেড়ে নেয়। কখনও কখনও আবার রোজকার ব্যবহারের জলে আয়রন থাকলেও দাঁত লালচে হয়ে যায়। সামনের মানুষটির দাঁত যদি অপরিষ্কার হয় তাহলে অনেক সময় কথোপকথনের আগ্রহও হারিয়ে যেতে পারে। ফলে বিঘ্নিত হতে পারে প্রেমজীবনও। কাজেই দাঁত ঝকঝকে রাখা চাইই চাই। রইল এমন তিন ঘরোয়া কৌশলের সন্ধান যা খুব সহজেই দাঁতের লাল-কালো দাগ থেকে দিতে পারে মুক্তি।
১. বেকিং সোডা: বেকিং সোডা দাঁতের দাগ তোলার ক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে। বিশেষ করে দাঁতের ওপরের স্তর থেকে গুটখা, খৈনির লালচে দাগ তুলতে এবং দাঁতকে সাদা করতে এর জুড়ি মেলা ভার। প্রথমে সামান্য বেকিং সোডার সঙ্গে অল্প জল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এরপর সেই পেস্ট দিয়ে ২-৩ মিনিট ধরে দাঁত ঘষুন। পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ভালভাবে কুলকুচি করে নিন। তবে, এটি বেশি ব্যবহার করলে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই এই মিশ্রণ সপ্তাহে এক বা দুইবার-এর বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়।
২. লেবুর রস: লেবুর রসে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে, এই অ্যাসিড দাঁতের দাগ তুলতে সাহায্য করে। সরাসরি একটি লেবুর রস বার করে তা দিয়ে দাঁত ঘষতে পারেন অথবা লেবুর রসের সঙ্গে অল্প জল মিশিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। তবে, লেবুর রস অ্যাসিডিক হওয়ায় এটি বেশি ব্যবহার করলে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হতে পারে, তাই এটিও সপ্তাহে একবার বা দুইবার ব্যবহার করাই ভাল।
৩. নারকেল তেল: নারকেল তেল দাঁতের জন্য খুবই উপকারী। এটি দাঁতের দাগ তুলতে এবং মুখের ব্যাকটেরিয়া কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে নারকেল তেল দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। নারকেল তেল কিছুটা প্রাকৃতিক মাউথ ওয়াশ-এর মতো কাজ করে। এক টেবিল চামচ নারকেল তেল মুখে নিয়ে ১০-১৫ মিনিট ধরে কুলকুচি করুন এবং তারপর ফেলে দিন। এরপর জল দিয়ে মুখ ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন।
তবে, যদি আপনার দাঁতে খুব বেশি দাগ থাকে বা অন্য কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন দন্ত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
