আজকাল ওয়েবডেস্ক: আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণা করলেন মার্সেলো। ৩৬ বছর বয়সে বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন রিয়েল মাদ্রিদের তারকা ফুটবলার। বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে অলঙ্কৃত ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম তিনি। ৫৮ বার ব্রাজিলের জার্সিতে দেখা গিয়েছে লেফট ব্যাককে। ২০০৭ সালে ফ্লুমিনেন্স থেকে মাত্র ১৮ বছর বয়সে রিয়েল মাদ্রিদে যোগ দেন। বার্নাবিউতে ১৫ বছরে মোট ২৫টি ট্রফি জিতেছেন। তারমধ্যে রয়েছে পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ছটি লা লিগা। ২০২১ সালে অধিনায়ক হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করে রিয়াল মাদ্রিদ। ক্লাবের ১১৭ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার স্প্যানিশ ফুটবলারের বাইরে কাউকে অধিনায়ক করা হয়। 

অবসরের পর মার্সেলো বলেন, '১৮ বছর বয়সে রিয়েল মাদ্রিদ আমার দরজায় কড়া নাড়ে এবং আমি এখানে পৌঁছে যাই। আমি গর্বিত হয়ে বলতে পারব, আমিই আসল মাদ্রিলেনো। ১৬ মরশুমে ২৫টি খেতাব। পাঁচটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। অধিনায়কও হয়েছি। বার্নাবিউতে এতোগুলো ম্যাজিক্যাল রাত কাটিয়েছি। অবিস্মরণীয় যাত্রা। প্লেয়ার হিসেবে আমার যাত্রা এখানেই শেষ। তবে আমার এখনও ফুটবলকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ।' রিয়েল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ বলেন, 'রিয়েল মাদ্রিদ এবং বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে মার্সেলো সেরা লেফট ব্যাকদের মধ্যে অন্যতম। আমরা এতগুলো বছর ওকে দেখার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ। আমাদের কিংবদন্তিদের মধ্যে ও অন্যতম। রিয়েল মাদ্রিদ সবসময় ওর ঘরবাড়ি থাকবে।' ২০২১-২২ মরশুমের শেষে মাদ্রিদ ছাড়েন মার্সেলো। গ্রিসের দল অলিমপিয়াকসে যোগ দেন। কিন্তু যোগ দেওয়ার মাত্র পাঁচ মাস পরে চুক্তিভঙ্গ করেন। ২০২৩ সালে ছোটবেলার ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে ফেরেন। শেষ দু'বছর নিজের পুরোনো ক্লাবেই কাটান। মোট ৬৮ ম্যাচ খেলেন। কোচ মানো মেনেজেসের সঙ্গে ঝামেলার জেরে গত নভেম্বরে ক্লাব ছাড়েন। এবার অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন নেইমারের এককালীন সতীর্থ। শেষ হল একটা অধ্যায়।