আজকাল ওয়েবডেস্ক: আমেরিকায় অবৈধভাবে বসবাসকারী ১০৪ জন ভারতীয় নাগরিককে সম্প্রতি দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বুধবার একটি সামরিক বিমানে অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ে অমৃতসরের শ্রী গুরু রামদাস জি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির অধীনে এই প্রথম অবৈধ ভারতীয় দেশে ফেরত পাঠানো হল। ১০৪ জনের মধ্যে মধ্যে ৩৩ জন হরিয়ানার, ৩৩ জন গুজরাতের, ৩০ জন পাঞ্জাবের, ৩ জন মহারাষ্ট্রের, ৩ জন উত্তরপ্রদেশের এবং ২ জন চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা। এই দলে ১৯ জন মহিলা এবং ১৩ জন নাবালক ছিল, যার মধ্যে চার বছরের একটি ছেলে এবং পাঁচ এবং সাত বছরের দু'টি মেয়েও ছিল। শুধু ভারতীয়রাই নন বিভিন্ন দেশের অবৈধ বাসিন্দারে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

নির্বাচনী প্রচারেই অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় ফিরে সেই কথা রাখছেন তিনি। অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্প্রতি আলোচনাও হয়। যদিও এর আগে অবৈধ ভারতীয়দের প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সামরিক বিমানে দেশে পৌঁছে দেওয়ার পদক্ষেপ এই প্রথম। 

অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করে যাঁরা আমেরিকায় বসবাস করছেন তাঁদেরই নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। মার্কিন অভিবাসন দপ্তর এই বিষয়টি দেখাশোনা করে। বিভিন্ন কারণে নাগরিকত্ব অবৈধ হতে পারে যেমন, ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া বা ভিসার অপব্যবহার,  অপরাধমূলক কার্যকলাপ ইত্যাদি। যাঁরা এই সব নিয়মভঙ্গ করেন তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা থাকে। আইন লঙ্ঘনকারীকে প্রথমে আটক করে একটি ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। বিচার বিভাগের অধীনে অবস্থিত অভিবাসন আদালতে হাজির না না করানো পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই থাকেন। এরপর আদালত অভিবাসী আশ্রয় চান কি না তা পর্যালোচনা করে এবং পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার মাঝেই ১০৪ জনকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকা বহুদিন ধরেই ভারতের বৃহত্তম বানিজ্য সঙ্গী। বিশেষ করে এশিয়ায় চীনের প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি হওয়ায় দুই দেশই নিজেদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় পক্ষই অভিবাসন সংক্রান্ত উদ্বেগগুলি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।