আজকাল ওয়েবডেস্ক: শিশুকন্যাকে নৃশংসভাবে খুন সৎ মায়ের। শ্বাসরোধ করে আট বছরের শিশুকন্যাকে খুন করল সৎ মা। এখানেই শেষ নয়, শিশুর দেহ পোড়ানোর চেষ্টা পর্যন্ত করেছিল অভিযুক্ত মা। শিশুর পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালাতেই সন্ধান মেলে শিশুর মৃতদেহের। তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে খাটের তলায় কাঠের একটি বক্সের মধ্যে শিশুর দগ্ধ দেহ ভরে রেখেছিল সৎ মা। অভিযুক্তের বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তাঁকে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বক্সার জেলার নয়া ভোজপুর গ্রামে।
জানা গেছে, শিশুটির বাবা পাপ্পু গোন্ড গাজিয়াবাদে কাজ করেন। প্রথম স্ত্রী করোনার সময়ে মারা যাওয়ায় তিনি সীমাদেবীর সঙ্গে ফের দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। শিশুর বড়দিদি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, সৎ মা শিশুকে কথায় কথায় মারত। সামান্য ভুল হলেই আর রক্ষা থাকতো না শিশুর।
আচমকাই শিশুটি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় কাকা শনিবার নিকটবর্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে শিশুটির খোঁজ চালাতে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায়। শেষমেশ বাড়ি থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সন্দেহের তালিকায় থাকা সৎ মাকে পুলিশ জেরা করতেই সে ভেঙে পড়ে। অপরাধের কথা স্বীকার করে। সীমাদেবী পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, শিশুটি অঙ্গনবাড়ি থেকে দুপুর একটার সময় ফিরতেই তাঁকে শ্বাসরোধ করে মেরে আগুন দিয়ে পোড়ানোর চেষ্টা করেছিল সে। পুলিশ মৃত শিশুর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
