আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের পর চেন্নাইয়ের চিপক। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচে ইংল্যান্ডকে দু’উইকেটে হারাল ভারত। এখনও পর্যন্ত সিরিজের দুই ম্যাচের মধ্যে তফাৎ একটাই। ইডেনে যেমন হেলায় ব্রিটিশদের পর্যদুস্ত করেছিল টিম ইন্ডিয়া এদিন সেই দায়িত্বটা একাই কাঁধে তুলে নিলেন তিলক ভার্মা। ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে তিলকের ৫৫ বলে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসই ম্যাচ জেতাল ভারতকে। চার বল বাকি থাকতে এদিন রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নিল টিম ইন্ডিয়া। তিলকের সঙ্গে মূলত সঙ্গ দিলেন লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা। অলরাউন্ডার ওয়াশইংটন এবং দুই বোলার রবি বিষ্ণোই, অর্শদীপ সিং। তবে শেষ ওভার পর্যন্ত ধরে খেলে, বল বুঝে শট খেলে যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলেন তিলক তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় মারকুটে তিলককে দেখা গিয়েছিল।
এদিন তিন নম্বরে নেমে অন্য ভূমিকায় খেললেন তিনি। ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই ব্যাট চালানো শুরু করেন স্যামসন এবং অভিষেক। তাঁরা জানতেন স্পিনার আসার আগে যতটা সম্ভব রান তুলে ফেলতে হবে। তবে ওপেনিং জুটি এদিন বেশিক্ষণ টেকেনি। ১২ রান করে অভিষেক ফেরার কিছুক্ষণ পর আউট হন স্যামসনও। পাওয়ার-প্লের সুবিধা নিয়ে অধিনায়ক স্কাইয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিলক। সেই শুরু। সূর্যকুমার ১২ রানে ফেরার পর ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি হার্দিক এবং ধ্রুব জুড়েল। সৌজন্য ইংল্যান্ডের ব্রাইডন কার্স। এক প্রান্ত থেকে ক্রমাগত রান আটকে রাখছিলেন আদিল রশিদ। সেই সুবিধা নিয়েই তিন উইকেট তুলে নেন কার্স। একটা সময় মনে হচ্ছিল সেই কার্সের অভিশাপেই ম্যাচ বেরিয়ে যাবে ভারতের হাত থেকে।
কিন্তু জোফ্রা আর্চারের একটা ওভারেই খেলা ঘুরিয়ে দেন সাত নম্বরে নামা ওয়াশিংটন। মারেন দুটি বিশাল ছক্কা এবং একটি চার। দিনটা আর্চারের জন্য খুব একটা ভাল যায়নি। চার ওভার বল করে প্রথমবার নিজের টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারে ৬০ রান খেয়েছেন তিনি। জোফ্রা আর্চারের শেষ ওভারে তাঁকে ফের জোড়া ছক্কা হাঁকান তিলক ভার্মা। ইনিংসের ১৯তম ওভারে লিভিংস্টোনকে বল দিয়ে সারপ্রাইজ দিয়েছিলেন বাটলার। কিন্তু পরিকল্পনায় একদম জল ঢেলে দেন বিষ্ণোই। তিলককে যখন আটকাতে ব্যস্ত ইংলিশ বোলাররা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাউন্ডারি হাঁকান ভারতীয় স্পিনার। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাকি ছিল ছ’রান। জেমি ওভারটনের বলে সহজেই সেই রান তুলে নেন তিলক। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ইতিমধ্যেই ২-০ এগিয়ে গেল ভারতীয় দল।
