সংবাদসংস্থা মুম্বই: ১৬ জানুয়ারি, বুধবার গভীর রাতে বান্দ্রা এলাকায় সইফ আলি খানের বহুতল আবাসনে চড়াও হয়েছিল দুষ্কৃতী। পরিবারকে রক্ষা করতে গিয়ে হাতাহাতি বাধে সইফের সঙ্গে। সেই সময় সইফের হাতে, ঘাড়ে, মেরুদণ্ডে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে, এমনই জানা গিয়েছে। অভিনেতার শরীরে ছ'টি ক্ষত রয়েছে। 

 


শিরদাঁড়ায় গাঁথা ছুরি নিয়েই ছেলে তৈমুরের হাত ধরে হাসপাতালে প্রবেশ করেন অভিনেতা। মাত্র ৮ বছরের ছেলে তৈমুর বাবাকে নিয়ে যায় হাসপাতালে। কিছুদিন আগেই লীলাবতি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান অভিনেতা। সেদিন রাতে ঠিক কী হয়েছিল? মুম্বই পুলিশকে সাফ জানিয়ে দিলেন সইফ। 

 

 

তিনি জানান, সেদিন স্ত্রী করিনার সঙ্গে ঘরেই ছিলেন। আচমকা বাইরে থেকে পরিচারিকা এলিমার চিৎকার শুনতে পান। এলিমা তাঁদের ছোটছেলে জেহ-র দেখাশোনা করেন। জেহ রাতে তাঁর সঙ্গেই ঘুমিয়েছিল। এলিমার চিৎকার শুনে সইফ এবং করিনা ছুটে যান জেহ-র ঘরে। দেখতে পান দুষ্কৃতীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলছে এলিমার। সইফ দুষ্কৃতীকে বাধা দিতে এলে হাতাহাতি শুরু হয়। পরিচারিকা এলিমা জানিয়েছেন, ওই দুষ্কৃতী কোটি টাকা দাবি করেছিল।

 

এদিকে, সইফের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতী শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বই পুলিশ। এরপর সইফের স্বীকারোক্তি ঘটনার জটিলতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।