আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি নেটমাধ্যমে ঝড় তুলেছে এমন একটি প্রথার কথা। এই প্রথায় নাকি বিশেষ এক উপজাতির মানুষরা তাঁদের গ্রামে বাইরে থেকে যাওয়া কোনও পর্যটককে নিজেদের স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করতে দেন। কতটা সত্যি রয়েছে এই প্রচারের নেপথ্যে?
2
12
বিষয়টি যেমন পুরোপুরি সত্য নয়, তেমন পুরোপুরি মিথ্যেও নয়। গ্রিনল্যান্ডের প্রবল ঠান্ডায় বসবাসকারী এস্কিমোদের মধ্যে স্ত্রী অদলবদল করার এক বিশেষ প্রথার কথা শোনা যায় বটে।
3
12
ইনুইট নামের একটি বিশেষ উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে স্ত্রী ভাগাভাগির ইতিহাস রয়েছে। তবে এই প্রথাটি অত্যন্ত একটি জটিল বিষয়, যা প্রায়শই ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়।
4
12
প্রকৃতপক্ষে, এটি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রথা যা একসময় ওই অঞ্চলের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিল।
5
12
ঐতিহ্যগত ভাবে ইনুইটরা অত্যন্ত কঠিন পরিবেশে বসবাস করত, যেখানে বেঁচে থাকার জন্য সহযোগিতা ছিল অপরিহার্য। প্রবল ঠান্ডায় ন্যূনতম খাদ্য এবং জীবনযাপনের সাধন ব্যবহার করেই জীবন কাটত তাঁদের।
6
12
ছোট ছোট গোষ্ঠীতে ভাগ করে বসবাস করতেন এই উপজাতির মানুষ। তাই অন্য গোষ্ঠীর সঙ্গে সামাজিক বন্ধন তৈরি করতে অনেকেই স্ত্রীদের অন্য গোষ্ঠীর পুরুষদের সঙ্গে সহবাস করার অনুমতি দিতেন।
7
12
কখনও কখনও বাইরে থেকে কোনও পর্যটক গেলে তাঁর সঙ্গেও সহবাসের অনুমতি পেতেন নারীরা। এটি আতিথেয়তার একটি চরম রূপ হিসেবেও বিবেচিত হত, যেখানে আগত অতিথিদের সম্মান জানানোর জন্য স্ত্রীর সঙ্গে সহবাসের অনুমতি দেওয়া হত।
8
12
এই প্রথাটি 'অতিথি সহবাস' নামে পরিচিত। তবে এটি নিয়মিত বা সাধারণ ঘটনা ছিল না। এটি শুধুমাত্র বিশেষ পরিস্থিতিতে বা বিশেষ অতিথিদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ছিল।
9
12
বিষয়টির একটি বৈজ্ঞানিক দিকও রয়েছে। ইনুইটরা যেহেতু ছোট ছোট দলে থাকতেন তাই যাতে আত্মীয়দের মধ্যে যৌন মিলন না ঘটে এবং জিনের ভিন্নতা বজায় থাকে তাও নিশ্চিত করত এই বিশেষ পদ্ধতি।
10
12
মনে রাখা জরুরি যে, এই প্রথাটি অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে একটি উপজাতির সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার একটি অংশ ছিল এবং আধুনিক সমাজের পরিপ্রেক্ষিতে এটিকে বিচার করা উচিত নয়।
11
12
বেশ কিছু ইউরোপীয় অভিযাত্রী এই প্রথাকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন বলেই জনমানসে প্রথাটি নিয়ে এত বিভ্রান্তি।
12
12
আধুনিক সমাজে এই প্রথাটি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে গ্রিনল্যান্ডের ইনুইট সম্প্রদায় অন্যান্য আধুনিক সমাজের মতোই জীবনযাপন করে।