আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'দিল্লির কসাই'। যার নাম নিলেই রাজধানীতে সাধারণ মানুষের শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়। অবশেষে সেই সিরিয়াল কিলারকে গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিশ। ১৮ জনকে পরপর খুনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল সে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চন্দ্রকান্ত ঝাঁ। ১৯৯৮ সালে প্রথম খুন। দিল্লিতে ৩১ বছর বয়সি বিহারের বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ২০০২ সালে যথাযথ প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়েছিল। তারপর থেকেই শুরু সিরিয়াল কিলিং। একে একে প্রাণ কেড়েছে ১৮ জনের। মৃতরা সকলেই বিহার, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে দিল্লিতে কাজ খুঁজতে এসেছিলেন। তাঁদের কাজ দেওয়ার নাম করে খুন করত চন্দ্রকান্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, চন্দ্রকান্ত জানিয়েছিল, পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে প্রথমে ঝামেলা করত। তারপর তাঁদের হাত বেঁধে, শ্বাসরোধ করে খুন করত। এরপর লাশের টুকরো প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে তিহাড় জেলের আশেপাশেই ছড়িয়ে দিত। সেই ব্যাগে একটি কাগজের টুকরোয় লিখে দিত, 'আমাকে ধরে দেখান'।
২০১৩ সালে তাকে প্রথমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালে সাজা বদলে, তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিল চন্দ্রকান্ত। কিন্তু তারপর আর ফেরেনি। একবছরের বেশি সময় ধরে তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। শুক্রবার পুরাতন দিল্লি রেলস্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
