সংবাদসংস্থা মুম্বই: বুধবার গভীর রাতে বান্দ্রা এলাকায় সইফ আলি খানের বহুতল আবাসনে চড়াও হয়েছিল একদল দুষ্কৃতী। তাদের সঙ্গে হাতাহাতি বাধে বলি-তারকার। সেই সময় সইফের হাতে, ঘাড়ে, মেরুদণ্ডে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে, এমনই জানা গিয়েছে। অভিনেতার শরীরে ছ’টি ক্ষত রয়েছে।
শিরদাঁড়ায় গাঁথা ছুরি নিয়েই ছেলে তৈমুরের হাত ধরে হাসপাতালে প্রবেশ করেন অভিনেতা। মাত্র ৮ বছরের ছেলে তৈমুর বাবাকে নিয়ে যায় হাসপাতালে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই মুহূর্তে বিপদ মুক্ত সইফ। জ্ঞান ফিরেছে তাঁর। আপাতত এক সপ্তাহ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধান ছাড়া হাঁটাচলা করতে পারবেন না তিনি। তবে উদ্বেগের কিছু নেই। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।
সইফের স্বাস্থ্যবিমার যে নথি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে বিমার ঊর্ধ্বসীমা থেকে শুরু করে চিকিৎসা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, সইফের ৩৬ লক্ষ টাকার একটি স্বাস্থ্যবিমা রয়েছে। তার মধ্যে হাসপাতালের জন্য ইতিমধ্যেই ২৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে বিমা কোম্পানিটি। সেখান থেকে জানা যাচ্ছে, আগামী ২১ জানুয়ারি সইফকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে।
কিন্তু এই ঘটনার আগেও মৃত্যুর মুখ থেকে আরও একবার ফিরে এসেছিলেন সইফ। ২০০৭ সালে হঠাৎই বুকে অসম্ভব ব্যাথা অনুভব করেন অভিনেতা। সেই সময়ও লীলাবতী হাসপাতালেই ভর্তি হন তিনি। একটি অ্যাওয়ার্ড শোয়ে যাওয়ার আগে হঠাৎ এইরকম বুকে ব্যাথা অনুভব করায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এরপর যদিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফ্লোরে ফেরেন সইফ।
