আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ে করতে চেয়েছিলেন নিজের পছন্দে। কিন্তু পরিবার দেখে দিয়েছিল অন্য একজনকে। সেই নিয়ে বাকবিতণ্ডা। রাগের বশে বাবা গুলি চালালেন মেয়ের ওপর। ঘটনাটি গোয়ালিয়রের। 

 


জানা গিয়েছে, মেয়ের বয়স মাত্র ২০ বছর। তাঁর নাম তনু গুর্জার। মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলেন বাবা। মঙ্গলবার রাত তখন ন’টা। শহরের গোলা কা মন্দির এলাকায় মেয়েকে খুন করেন বাবা। ঠিক কী ঘটেছিল?  সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন তনু। তিনি তাতে বলেন, তিনি যাকে বিয়ে করতে চাইছেন, বাড়ির লোকের তাতে অমত রয়েছে। তার ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। ৫২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে তিনি, তাঁর বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য লোকেদের এই কাজের জন্য দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি ভিকিকে বিয়ে করতে চান। তার পরিবার প্রথমে রাজি হলেও পরে দ্বিমত করতে থাকেন  এই বিয়ের বিষয়ে। তিনি ভিডিওতে এমনও বলেন, তাঁকে নাকি প্রতিনিয়ত মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এরপর তিনি ভিডিওতে উল্লেখ করেন, যদি তাঁর কিছু হয় তাহলে দায়ী থাকবে পরিবার। তিনি পরিচয় দেন নিজের প্রেমিকেরও। তাঁর প্রেমিকের নাম ভিকি মাওয়াই। তিনি উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা। গত ছয় বছর ধরে তনুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। 

 


ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরেই সেখানকার পুলিশের কর্মকর্তা ধর্মবীর সিংয়ের নেতৃত্বে অন্যান্যরা তাঁর বাড়িতে যান। সেখানে বিষয়টি মিটমাটের চেষ্টা করা হয়। এরপর হঠাৎই মহেশ মেয়ের বুকে গুলি করে। গুলি গিয়ে লাগে তনুর কপালে, ঘাড়ে। এর পাশাপাশি তাঁর চোখ ও নাকের মাঝখানে এসে লাগে গুলি। সেই আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর। বাবা মহেশের সঙ্গে কাকার ছেলে রাহুলও এই কাণ্ডে যোগ দেয়। মৃত্যু হয়েছে নিশ্চিত করে রাহুল চম্পট দেয় এলাকা থেকে। পুলিশ হাতেনাতে ধরে মহেশ গুর্জারকে। স্হানীয় সূত্রে খবর, আগামী ১৮ জানুয়ারি পরিবারের দেখে দেওয়া ছেলের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তনুর। তার আগেই এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। রাহুলের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।