আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে স্মার্টফোনের ব্যবহার।  আজকাল মোবাইল ফোন ছাড়া এক পা-ও যেন কারও চলে না। কাজের সূত্রে তো বটেই, অবসর কাটানোরও সঙ্গীও মুঠোফোন। এমনকি অনেকের ঘুমোনোর আগেও ফোন ঘাঁটার অভ্যাস। সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোলিং করে রিল, ভিডিও দেখার নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন আট থেকে আশি। বেশ খানিকটা সময় মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি না করলে যেন ঘুম আসে না অনেকের। আর এই প্রবণতাই অজান্তে চরম বিপদের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে! গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই ভয়ঙ্কর তথ্য। 

বর্তমান ডিজিটাল দুনিয়ায় মোবাইল ছাড়া জীবন চলা অসম্ভব। ইদানিং সেই দুনিয়াতেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছে রিল তথা স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও।  একের পর এক কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও দেখতে দেখতে খেয়াল থাকে না সময়ের। এনিয়েই সম্প্রতি চিনে চার হাজারের বেশি মানুষের উপর একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে বিশেষত ঘুমানোর আগে শর্ট ভিডিও দেখে সময় কাটানোর বিষয়ের উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। আর সেই গবেষণাতেই উঠে এসেছে, রাতে দীর্ঘক্ষণ মোবাইলে রিল দেখলে হাইপারটেনশনের ঝুঁকি বাড়ে। মধ্যবয়স্কদের এই অভ্যাসের সঙ্গে হাইপারটেনশনের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। 

শুধু তাই নয়, ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফোন ঘাঁটলে প্রভাব পড়তে পারে নার্ভাস সিস্টেম ও স্মৃতিশক্তির উপরেও। মোবাইলের নীল আলো  চোখে প্রবেশ করে এবং মস্তিষ্কে আঘাত করে। তারপর মেলাটোনিনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়, যা সরাসারি প্রভাব ফেলে ঘুমের উপরও। তাই গবেষকরা রাতে স্ক্রিন টাইম সীমিত করার পরামর্শ দিয়েছেন। সঙ্গে ওজন, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখারও জরুরি। উচ্চ রক্তজনিত ঝুঁকি থেকে জটিল হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে। সেক্ষেত্রে বেশি সোডিয়াম যুক্ত ডায়েট এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।