আজকাল ওয়েবডেস্ক: নাকের ডগায় রয়েছে গ্যাংস্টার অথচ তাঁকে খুঁজে পেতে ৩৫ বছর লেগে গেল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। আত্মীয় 'বিভীষণ' না হয়ে উঠলে হয়তো অবসরও সময় মতো নিয়ে নিতে পারতেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় হল না। অবসরের তিন বছরের আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়লেন কুখ্যাত গ্যাংস্টার।

১৯৮৪ থেকে '৮৯ নিজের কুকর্মের জন্য পুলিশের খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন নাকড়ু যাদব। খুন, ডাকাতি, রাহাজানি সবকিছুতেই সিদ্ধহস্ত ছিলেন। গ্যাংস্টার আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। আচমকাই এক দিন পুলিশের ব়্যাডার থেকে উবে যান নাকড়ু। কয়েকমাস পরে নতুন নাম নিয়ে ভুয়ো নথি বানিয়ে ফের হাজির হন উত্তরপ্রদেশে। ১৯৮৯ সালে হোমগার্ডের চাকরিও জুটিয়ে ফেলেন।  অবশেষে অবসরের তিন বছর আগে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন কুখ্যাত গাংস্টার নাকড়ু।

পুলিশ সূত্রে খবর, চাকরি পেতে অষ্টম পাশের শংসাপত্র পেশ করেছিলেন নাকড়ু। কিন্তু তিনি পড়াশোনা করেছেন চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত। নন্দলাল যাদব নামে পুলিশের হোমগার্ড পদে কাজ জুটিয়ে ফেলেন তিনি। ১৯৯২ সালে স্থানীয় পুলিশ নাকড়ুর ক্যারেক্টার সার্টিফিকেটে সই করে তাঁকে ছাড়পত্র দেয়। এর পর সে মেহনগর থানায় হোমগার্ডের কাজ শুরু করেন। প্রায় ৩৫ বছর এভাবে চলছিল বাধ সাধল নাকড়ুর ভাইপো। কাকার পরিচয় সম্পর্কে পুলিশকে খবর দেয় সে এবং এ-ও জানায় যে, ভুয়ো পরিচয়ে চাকরি পেয়েছে তাঁর কাকা। এর পরেই গত ডিসেম্বর মাসে পুলিশের জালে ধরা পড়ে যান নাকড়ু। 

আজমগড়ের পুলিশ সুপার হেমরাজ মিনা জানিয়েছেন, নাকড়ুর বিরুদ্ধে রানি কি সরাই পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কীভাবে এত বছর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পুলিশেই কাজ করে গেলেন তিনি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  যে সকল আধিকারিকরা তাঁর ক্যারেক্টার সার্টিফিকেটে সই করেছিলেন তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।