আজকাল ওয়েবডেস্ক: শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেওয়ার জন্যই প্রয়োজন ডিটক্সিফিকেশনের। হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা, ঘুমের উন্নতি, হজম ক্ষমতা ও  রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে ডিটক্স পানীয়। সঙ্গে বাড়ায় ত্বকের জেল্লাও। তারকারদের জেল্লাদার ত্বকের রহস্যের পিছনেও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ডিটক্স ওয়াটার। কারণ শুধু রূপচর্চা নয়, ত্বকের যত্নে রোজ বেশ কিছু পানীয়র উপর ভরসা করেন আলিয়া ভাট, কিয়ারা আডবাণীদের মতো নায়িকারা। তাহলে তাঁদের মতো ঝলমলে ত্বক পেতে রোজ সকালে কোন কোন পানীয়তে চুমুক দেবেন, জেনে নেওয়া যাক- 

এক কাপ পালং শাক, আধ কাপ ধনেপাতা, দুই থেকে তিন আঁটি পার্সলে এবং একটি আমলকি নিন। সব পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। মিক্সারে ভাল করে ব্লেন্ড করুন। থকথকে একটি মিশ্রণ তৈরি হবে। গ্লাসে সেটি ছেঁকে নিন। রোজ সকালে খালি পেটে এই পানীয়ের সঙ্গে এক চিমটে নুন ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। শরীর থেকে টক্সিন বের করে হাইড্রেট করে এই পানীয়।তাই ত্বকও থাকে উজ্জ্বল ও দাগহীন। এই পানীয় দিয়েই ত্বকের বয়স থমকে যাবে, ফিরবে উজ্জ্বলতা।

আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ২৫০ মিলি জল,  অর্ধেক লেবুর রস, এক চিমটে গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। চাইলে এর সঙ্গে ১ চা চামচ মধু মেশাতে পারেন। ওজন কমাতে লেবু, মধুর মিশ্রণ খুব উপকারী। আর সেই মিশ্রণে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে নিতে পারলে আরও ভাল কাজ দেয়। শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে এই পানীয় উপকারী। জেল্লা ফেরে ত্বকে।

হজমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে শসা দারুণ কাজ করে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখে ত্বকেরও। শশার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান ত্বকের যাবতীয় টক্সিন বার করে দেয়। শরীর আর্দ্র রাখার পাশাপাশি ব্রণর সমস্যা কমাতেও শসা দারুণ কাজ করে। একটা শসার সঙ্গে তরমুজ আর তুলসি পাতা মিশিয়ে রস বানিয়ে খেলে আরও বেশি উপকার পাবেন। তুলসি ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যায় দারুণ উপকারী।

কাচের বোতলে আগে থেকে কেটে রাখা বিট,  গোটা আপেলের টুকরো দিন। এতে আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখা চিয়া সিড দিন। সঙ্গে দুটো বড় দারচিনির কাঠি দিয়ে সম্পূর্ণ বোতলটি জল দিয়ে ভরে দিন।কয়েক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর এই ডিটক্স জলে চুমুক দিন। ব্রেকফাস্টের পর এই পানীয় পান করতে পারেন।