আজকাল ওয়েবডেস্ক: শীতে দিল্লির পরিস্থিতি হয় ভয়াবহ। গত কয়েকদিন ধরেই হাড়কাঁপানো ঠান্ডা। শুক্রবারেও বজায় রইল তা। সঙ্গে গোটা রাজধানী শহর একপ্রকার ঢাকা রইল  কুয়াশার মোটা চাদরে। গত কয়েকদিনে কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কয়েকমিটারে নেমে গেলেও, শুক্রবার দৃশ্যমানতা একপ্রকার শূন্য, সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই। 

আইএমডি জানাচ্ছে, শুক্রবার সকালে রাজধানীর তাপমাত্রা নেমে যায় সাত ডিগ্রির ঘরে। হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, শুক্রবার দিল্লির তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ৬ডিগ্রিতে। 

ঘন কুয়াশা আর প্রবল শৈত্যপ্রবাহের কারণে ব্যাহত দিল্লির স্বাভাবিক জনজীবন। গত কয়েকদিন ধরেই আবহাওয়ার এই পরিস্থিতির বড় প্রভাব পড়ছে বিমানে। এদিনও যাত্রীদের বিমান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলা হয়েছে। স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির বিচারে বদল হতে পারে উড়ান এবং অবতরণে। সেই কারণে যাত্রীদের সুবিধা হবে, যদি তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন। 

নয়া দিল্লি, আনন্দ বিহার, হযরত নিজামুদ্দিন-সহ দিল্লির একাধিক স্টেশন থেকে এদিন সকালের দিকে বহু ট্রেন দেরিতে চলাচল করছে। গভীর শীতে, দিল্লির বাতাসের স্বাস্থ্য নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। গত কয়েকদিনে বাতাসের স্বাস্থ্য কিছুটা উন্নত হলেও, শুক্রবার চিন্তা বাড়ল তা নিয়েও। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড শুক্রবার সকালে জানিয়েছে, এদিন সকাল সাতটায় দিল্লির একিউআই ছিল ৪০৯। বৃহস্পতিবার ওই একই সময়ে একিউআই ছিল ২৯৯। অর্থাৎ একদিনে, একধাক্কায় খারাপ হয়েছে সেখানকার বাতাসের স্বাস্থ্য। একই সঙ্গে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সপ্তাহের শেষে দিল্লির কয়েকটি জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। আগামী দুদিন ধরে হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ থাকবে।