সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ঝামেলা বা বিতর্কের সঙ্গে কঙ্গনার নাম সমার্থক। হয় তাতে তিনি নিজেই জড়ান অথবা তৈরি করেন। ২০১৮ সালে কঙ্গনা রানাউত অভিনীত ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’র কাজ ছেড়ে দিলেন সোনু সুদ। ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন তিনি। কঙ্গনার তরফে জানানো হয়েছিল মহিলা পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে চাননি সোনু। সোনু অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই অভিযোগ। ছোট্ট করে জানিয়েছিলেন, এই ছবির বহু আগে মহিলা-পরিচালক ফারহা খানের পরিচালনায় ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’-এ তিনি কাজ করেছেন। ‘মণিকর্ণিকা' ছাড়ার বিষয়ে সোনুর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওঁর নতুন ছবির শিডিউল ও তারিখ আগেই টিম ‘মণিকর্ণিকা’কে জানিয়েছিলেন অভিনেতা। ছবির প্রযোজক কমল জৈন আবার বলেছেন, ‘‘সোনুর কাজ ছাড়ার বিষয়টা আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে সোনু জানালেন কঙ্গনা ও তাঁর মধ্যে এখনও কোনও কথা হয় না। এবং তাই নিয়ে তাঁর বিন্দুমাত্র কোনও আফসোস নেই। তবে তিনি যে একসময় এই অভিনেত্রী ও তাঁর পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন সেকথাও জানাতে ভোলেননি সোনু। তাঁর কথায়, " কঙ্গনা মানুষ হিসাবে খারাপ নয় কিন্তু বোকা। যাই হোক, যার সঙ্গে আমার একবার বন্ধুত্ব হয় সেই ব্যক্তির সঙ্গে যদি ঝামেলাও হয়ে যায় তবু তার নাম প্রকাশ্যে বাজে কথা বলি না। আমার রুচিতে বাধে। মনখারাপটা নিজের মধ্যেই রাখি।”
যদিও ২০২০ সালে নাম না তুলে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে কটাক্ষ করেছিলেন সোনু সুদ । সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোনু বলিউডের শিল্পীদের মধ্যে একতা ও সংহতি প্রসঙ্গে কথা বলেন। তাঁর মতে একতা নিয়ে কথা বললেও আজকাল বলিউডের কয়েকজন বাস্তবে একতা বজায় রাখেন না। ইন্ডাস্ট্রির দিকে কয়েকজন অনবরত আঙুল তোলায় তিনি বেশ হতাশ বলে জানান। বোঝাই যাচ্ছে যে সোনু নাম না করে কঙ্গনাকেই কটাক্ষ করলেন। আসলে, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরপরেই কঙ্গনা দাবি করেছিলেন ইন্ডাস্ট্রির অধিকাংশ মানুষই মাদকাসক্ত। এই মন্তব্যের জন্য সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে নানা রকমের মন্তব্য করেছিলেন 'কুইন' ছবির এই অভিনেত্রী। অন্যদিকে সোনু বরাবরই আন্দোলনের পক্ষে সরব হয়েছেন।
