আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৭ বছর আগে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। যে অভিযোগের ভিত্তিতে কাকা, খুড়তুতো ভাইয়েরা জেল খেটেছেন। পুলিশের খাতাতেও 'মৃত' ব্যক্তি। ১৭ বছর পর পুলিশের সামনে আচমকা হাজির হল নিখোঁজ ওই ব্যক্তি। যা ঘিরে রীতিমতো শোরগোল।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রৌঢ়ের নাম, নাথুনি পাল। তিনি আদতে বিহারের দেওরিয়ার বাসিন্দা ছিলেন। ৬ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। সেদিন ঝাঁসি পুলিশ টহল দিতে গিয়ে তাঁকে খুঁজে পায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, ১৭ বছর তিনি বিহারে যাননি। তাঁর স্ত্রী ছিল। গত ছ'মাস ঝাঁসির এক গ্রামে থাকতে শুরু করেন। এরপরই বিহার পুলিশের হাতে নাথুনিকে তুলে দেয় ঝাঁসি পুলিশ।
তখনই দেখা যায়, বিহার পুলিশের খাতায় নাথুনিকে 'মৃত' বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০০৯ সালে আচমকা একদিন নাথুনি নিখোঁজ হয়ে যান। তখন তাঁর মামা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান, পূর্বপুরুষের জমি সংক্রান্ত বিবাদের কারণে তাঁর কাকা ও খুড়তুতো ভাইয়েরা তাঁকে খুন করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। কিন্তু নাথুনির দেহ কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
খুনের মামলায় নাথুনির কাকা ও তিন খুড়তুতো ভাইয়ের কারাদণ্ড হয়। কাকার মৃত্যুর পর, তিন ভাই আটমাস কারাবন্দি ছিলেন। তারপর জামিন পান তাঁরা। নাথুনির খোঁজ পাওয়ায় এই মামলা থেকে মুক্তি পাবেন তাঁর খুড়তুতো ভাইয়েরা। আজ, বৃহস্পতিবার নাথুনিকে আদালতে পেশ করা হবে। এরপর আদালতের নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ করা হবে।
