আজকাল ওয়েবডেস্কঃ ফ্রায়েড রাইস, পোলাও বা অন্য যে কোনও সুস্বাদু জম্পেশ রান্নার স্বাদ বৃদ্ধির জন্য কিশমিশ কিন্তু মাস্ট। তবে শুধুমাত্র রান্নায় ব্যবহারই নয়, শুকনো কিশমিশের তুলনায় এই ড্রাই ফ্রুট ভিজিয়ে খেলে মিলবে একাধিক উপকার। রোজ সকালে ভেজানো কিশমিশ খেয়েই দিন শুরু করুন এর উপকারিতা জেনে নিয়ে। তাতেই ফিরবে স্বাস্থ্যের হাল।
শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে হতে পারে অ্যানিমিয়া। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে শরীরে এই খনিজের ঘাটতি মিটিয়ে নিতে হবে। সেই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে ভেজানো কিশমিশ। আসলে এই ড্রাই ফ্রুটে রয়েছে আয়রনের ভাণ্ডার। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত জলে ভিজিয়েই এই ড্রাই ফ্রুট খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে অ্যানিমিয়ার ফাঁদ এড়াতে সকাল সকালই ভেজানো কিশমিশ খেতে হবে। তাতেই দেহে আয়রন শোষণ হবে।
সুস্থ থাকতে চাইলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের দিকে নজর ফেরাতেই হবে। আর সেই কাজে আপনাকে যোগ্য সঙ্গত দেবে ভেজানো কিশমিশ। কারণ, এই ড্রাই ফ্রুটে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের ভাণ্ডার। আর এই দুই উপাদান ব্লাড প্রেশার কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীরে সিঁধ কাটতে পারে না হার্টের অসুখ। তাই রোজ সকালে ভেজানো কিশমিশ খেয়েই দিন শুরু করুন।
কর্মচঞ্চল জীবন কাটাতে চাইলে এনার্জির ঘাটতি মিটিয়ে ফেলতেই হবে। আর সেই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে ভেজানো কিশমিশ। কারণ, এই ড্রাই ফ্রুট খেলে শরীরে জলের ঘাটতি মিটিয়ে ফেলা যায়। শুধু তাই নয়, এতে মজুত ভিটামিন, খনিজের গুণে শরীরে খেলে যায় এনার্জির জোয়ার। তাই আজ থেকেই এই ড্রাই ফ্রুট খাওয়া চালু করে দিন।
ড্রাই ফ্রুটে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা মুখের অন্দরে অলিঅ্যানলিক অ্যাসিড তৈরি হতে দেয় না। ফলে দাঁতের ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, এতে মজুত একাধিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের গুণে দাঁতের ফাঁকে বা মুখগহ্বরের কোথাও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াও বাসা বাঁধতে পারে না। যার ফলে এড়িয়ে চলা যায় মুখের সংক্রমণ। আর সেই কারণেই সকালে ভেজানো কিশমিশ খেয়েই দিন শুরু করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভাণ্ডার আর এই উপাদান ত্বকের ফ্রি রেডিকেলসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। যার ফলে বাড়ে ত্বকের জেল্লা। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যায় বলিরেখা। তাই ত্বকের যত্নে নিয়মিত এই ড্রাই ফ্রুট খান।
কিসমিসে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স থেকে আয়রন, তামা ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিসমিস ভিজিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর হয়। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। হাড়ের ব্যথায় ভুগলে বা হাড় মজবুত করতে চাইলে প্রতিদিন ভেজানো কিসমিস খান। কিসমিসে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়া এতে প্রচুর পটাসিয়ামও পাওয়া যায়, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা থেকে শরীরের বিভিন্ন সমস্যায় উপকারী।
