আজকাল ওয়েবডেস্কঃ ঠান্ডার দিনে আমাদের দেশে সাদা তিলের ব্যবহার বেশি করা হয়। কারণ সাদা তিল শরীরে উষ্ণতা বাড়ায়। তিল দেখতে ছোট হলেও এটি ঔষধি গুণে ভরপুর। আমাদের রোজকার খাবারেও তিলের বীজ ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে তিল খাওয়ার প্রথা চলে আসছে। এখানে মকর সংক্রান্তির আগে থেকেই তিল খাওয়া শুরু হয়, কারণ তিল নানা ভাবে শরীরের জন্য উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন বি ও ই, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের মতো নানা পুষ্টিকর উপাদান পায়। তিল নানা ভাবে খাওয়া যায়। রোজকার খাবারের পাতে স্যালাডের সঙ্গেও তিল মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। ঘি দিয়ে তিল ভাজা বা সকালে খালি পেটে তিল চিবিয়ে খাওয়া ভীষন উপকারী। নিউমোনিয়া রোগীদের জন্য তিল একটি অসাধারণ কার্যকরী ওষুধ। শিশুর হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত যে কোনও ব্যক্তি তিল খেতে পারেন।
সাদা তিলে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন ভোরে এক টেবিল চামচ সাদা তিল অল্প অল্প করে মুখে দিয়ে মিহি করে চিবিয়ে যখন একেবারে রসের মতো হয়ে যাবে তখন গিলে ফেলতে হবে। এই ভাবে সব তিল চিবিয়ে খাওয়া হয়ে গেলে ঠাণ্ডা জল খেতে হবে। এই তিল খাওয়ার পর তিন ঘন্টা পর্যন্ত আর কিছু খাবেন না। সাদা তিলে একাধিক প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। তাই প্রতিদিনের খাবারে এই উপকরণটি ব্যবহার করলে শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণেও অত্যন্ত কার্যকরী এই তিল। সাদা তিলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যা হাড় মজবুত করে এবং অস্টিওপোরোসিসের সম্ভাবনা কমায়। তিলের তেল কিন্তু খুবই উপকারি। তিলের তের গোড়ালি ফাটা, ঠোঁট ফাটা দারুণ কাজ করে। তিল তেল একটু গরম করে রোজ মালিশ করলে এক মাসের মধ্যেই নিষ্প্রাণ ত্বকে উজ্জ্বলতা এসে যায়, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। শীতে গাঁটের ব্যথা প্রচন্ড ভোগায়। আর এই ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে তিলের তেল। এছাড়াও তিলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। আর তাই তিল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে না। সেই সঙ্গে হজমেও সাহায্য করে এই তিল।
