বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Reporter: RB | লেখক: PB ০৬ আগস্ট ২০২২ ১৯ : ২৩Rishi Sahu
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্যস্ততা শুধু শরীর নিয়েই? দেখা যায় না বলেই কি মন অবহেলিত? অথচ তার প্রভাব কিন্তু অসীম।
গোটা শরীরের সেই নিয়ন্ত্রক। কীভাবে ভাল রাখা যায় তাকে? সেই উত্তর খুঁজতে 'আজকাল ইভেন্টস'-এর সূচনা অনুষ্ঠান- 'মানসিক সুস্থতার জন্য'। আলোচনাসভায় যোগ দিয়েছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা। ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক। শনিবার বেঙ্গল ক্লাবে।
বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে অর্থোপেডিক সার্জন ড. কৌশিক ঘোষ বলেন, 'মনে রাখতে হবে একজনের মানসিক রোগ হলে সেটা কিন্তু শুধু তাঁকেই প্রভাবিত করে না। প্রভাবিত করে তাঁর পরিবার এবং পরিবেশকেও। এক্ষেত্রে বন্ধুর ভূমিকা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'
লেখক-সাংবাদিক চন্দ্রিল ভট্টাচার্য বলেন, 'আসলে যেটা দেখা যায় না তাকে আমরা গুরুত্ব দিই না। মনে রাখতে হবে মনের অসুখে যিনি ভুগছেন তিনি কিন্তু তাঁর এই রোগের জন্য দায়ী নয়।'
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: রিমা মুখার্জি বলেন, 'আসলে আমাদের সমাজে মানসিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। এই সমস্যায় ভোগা কোনও ব্যক্তিকে যদি মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে বলা হয় তবে সে বলবে আমি কিন্তু পাগল না।'
চক্ষুলজ্জা যে অনেক সময় মানসিক সমস্যা দূর করতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, এদিন সেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মিনু বুধিয়া। তিনি বলেন, 'অনেক সময় লোকে মানসিক সমস্যায় ভুগলেও ভাবে লোকে কী বলবে!'
চাহিদা পূরণ না হওয়া কি মানসিক অসুস্থতার কারণ? এদিন এই বিষয়টির ওপরেও আলোকপাত করেছেন চিকিৎসকেরা। ইন্টারন্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ড. অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, 'চাহিদা না মেটার দিকটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। খেয়াল রাখতে হবে শিশুরা এখন চকোলেটের বদলে মোবাইল ফোন চাইছে। যেভাবে অন্য রোগের চিকিৎসা করাতে আমরা যাই, সেভাবে মানসিক রোগের জন্যও কিন্তু যেতে হবে।'
মানসিক রোগী কিন্তু তাঁর রোগের জন্য দায়ী নন। অথচ তাঁর পরিবারে বা সমাজে কিছু একটা ছুতো খুঁজে তাঁকেই দায়ী করা হয়। বিষয়টি সম্পর্কে বলতে গিয়ে কার্ডিয়াক সার্জন ড. কুণাল সরকার বলেন, 'প্লেগ যখন প্রথম হয়েছিল তখন যাঁর হয়েছে তাঁর ওপরেই দায়ভার চাপিয়ে দেওয়া হত। আসলে শরীরের সব কিছুর ছবি তোলা সম্ভব হলেও মনের ছবি তো তোলা যায় না। সেটাই মুশকিল। অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যালেন গ্রুপ অফ কোম্পানিজ-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ড. জিপি সরকার। উপস্থাপনায় রায়া ভট্টাচার্য এবং সঞ্চালনায় ড. পল্লব বসু মল্লিক।