আজকাল ওয়েবডেস্ক: রোহিত শর্মার ফর্ম নিয়ে সর্বত্র চর্চা চলছে। একইসঙ্গে তাঁর ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও জলঘোলা হচ্ছে। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী মনে করেন, একমাত্র ওপেনিংয়ে নামলেই ফর্মে ফেরার সুযোগ থাকবে রোহিতের। ছয় নম্বরের নেমে দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ৯ রান করেন ভারত অধিনায়ক। শেষ ছয় টেস্টে তাঁর গড় ১১.৮৩। প্রাক্তন কোচ মনে করছেন, অবিলম্বে আবার পুরোনো পজিশনে ফেরা উচিত রোহিতের। রবি শাস্ত্রী বলেন, 'গত আট, নয় বছর ধরে ওপেনিংয়েই ওর সেরা পারফরম্যান্স। তার মানে এই নয় যে ওপেনিংয়ে ফিরেই ও সাংঘাতিক কিছু করবে। তবে একটা সম্ভাবনা থাকবে। এটাই ওর আদর্শ জায়গা। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। শুরুতেই অস্ট্রেলিয়াকে ড্যামেজ করতে হলে, প্রথম পাঞ্চ মারতে হলে, এটাই সেরা জায়গা। ভারতীয় দলকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ সিরিজ ১-১ অবস্থায় আছে। আমার মতে, যে দল এই টেস্ট ম্যাচ জিতবে, তাঁরাই সিরিজ জিতবে। এই বিষয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। তাই দলের কম্বিনেশন সঠিক হতে হবে। কারণ অস্ট্রেলিয়া আত্মবিশ্বাস পেয়ে গিয়েছে।' 

শাস্ত্রীর কোচিংয়েই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জেতে ভারত। ২০১৮-১৯ এবং ২০২০-২১ সিরিজ জয়ের সময় হেড কোচের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। ঋষভ পন্থের অপরাজিত ৮৯ গাব্বায় অস্ট্রেলিয়ার ৩২ বছরের অপরাজেয় রেকর্ড ভেঙে দেয়। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন হেড কোচ জানান, সেদিন পন্থকে মূল্যবান পরামর্শ দেন শুভমন গিল। যাতে বদলে যায় ম্যাচের মোড়। শাস্ত্রী বলেন, 'আমি কোনওদিন এটা ভুলব না। শেষ সেশনে ১৪০ রান প্রয়োজন ছিল। কোভিডের জন্য দুটো আলাদা ড্রেসিংরুম ছিল। কোচের রুম থেকে আমি পন্থ বা পূজারার সঙ্গে কথা বলতে যাই। টয়লেটের মুখে আমি গিল এবং পন্থের মধ্যে কথপোকথন শুনতে পাই। ৭১ ওভার বল করা হয়ে গিয়েছে। গিল ৯১ রানে আউট হয়েছে। ওরা দু'জন দলের সবচেয়ে তরুণ প্লেয়ার। একজনের বয়স ২১, অন্যজনের ২২ ছিল তখন। ওরা আলোচনা করছিল, ৯ ওভার বাকি আছে। ওদের নতুন বল নিতেই হবে।ওরা মার্নাস লাবুশেনকে‌ আনবে। সেই ওভারগুলোতে ৪৫-৫০ রান তুলতে হবে। টার্গেটের কত কাছে পৌঁছনো যায় সেই নিয়ে ওরা আলোচনা করছিল। আমি ওদের কোনওভাবেই থামাইনি। আমি মাইন্ড‌সেট বদলাতে চাইনি। আমি শুধু ওদের বলি, যা করার সেটাই করো। শেষপর্যন্ত শেষ সেশনে আমরা প্রায় ১৫০ রান করে জিতি।' ঐতিহাসিক জয়ের পেছনে টিম স্পিরিট বড় ভূমিকা নেয় বলে জানান শাস্ত্রী। বিশেষ করে প্রথম টেস্টে ৩৬ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রত্যাবর্তন করে সিরিজ জয় মোটেই সহজ নয়।