শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর

Reporter: AD | লেখক: অভিজিৎ দাস | Editor: Uddalak Bhattacharya ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫ : ১৮Abhijit Das
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘরে একটি প্ল্যাকার্ড। লেখা 'বিচার এখনও বাকি'। তার পরেই সব শেষ। ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষ নিজেকে শেষ করে দিলেন গার্হস্থ্য হেনস্থার কারণে। ২৪ পাতার সুইসাইড নোটে দায়ী করে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া, স্ত্রীর পরিবার এবং পরিবার কোর্টের বিচারককে। অতুল সুভাষের ঘটনা সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে দেশে ছেলেদের জন্য আইন কোথায়? কতদিন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হেনস্থা হতে হবে ছেলেদের!
মর্মান্তিক কাণ্ড ঘটানোর আগে অতুল একটি ৯০ মিনিটের ভিডিও বানান। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে ন'টি কেস করেছেন। ছ’টি নিম্ন আদালতে এবং তিনটি মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। ২০২২ সালে প্রথম স্ত্রী তাঁর এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পণপ্রথা, জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন-সহ একাধিক ধারা আনা হয়েছে। এমনকী স্ত্রীর বাবার মৃত্যুর জন্যও দায়ী করেছেন তাঁকে। এর জন্য ক্ষতিপূরণও চেয়েছিলেন। পরে সেটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। এমনকী প্রতি মাসে দু’লাখ টাকা খোরপোশের দাবি করেন স্ত্রী এবং সন্তানের জন্য। সুভাষের ভাই জানিয়েছেন, মামলা মিটিয়ে নিতে তিন কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা।
তাও লড়ে যাচ্ছিলেন। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা অতুল কর্মসূত্র বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। অতুলের বিরুদ্ধে মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছিল সব উত্তরপ্রদেশে। প্রায় ৪০ বার তাঁকে সেখানে হাজিরা দিতে যেতে হয়েছে। অতুল তাঁর সুইসাইড নোটে লিখেছেন, সাম্প্রতিকতম শুনানিতে বিচারক রিতা কোশিক জানতে চান মামলাটির নিষ্পত্তি হচ্ছে না কেন। উত্তরে অতুল জানান, তাঁর স্ত্রী প্রথমে এক কোটি টাকার খোরপোশ দাবি করেছিলেন এবং এখন তিন কোটির খোরপোশ চাইছেন। বিচারক বলেন, আপনার কাছে এত টাকা রয়েছে বলেই চাইছেন। এর পর অতুল ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো-র তথ্য তুলে ধরে বলেন, এই ধরনের বেশির ভাগ মামলাই মিথ্যে হয় এবং এর ফলে নিজেকে শেষ করে দেন অনেক পুরুষই। এই কথা শুনে নিকিতা বলেন, তা হলে তুমি নিজেকে শেষ করে দিচ্ছ না কেন। অতুল দাবি করেছেন, এই কথা শুনে হেসে দেন বিচারক। তাঁর স্ত্রীকে কোর্টের বাইরে পাঠিয়ে বিচারক অতুলের থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চান মামলা নিষ্পত্তি করে দেওয়ার নাম করে। এর পরেই বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা উঠে যায় অতুলের। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আর কত পুরুষের প্রাণ যাবে এভাবে! অভিযুক্ত বিচারককে কেন গ্রেপ্তার করা হবে না, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তা নিয়েও।
তথ্য বলছে, বছরের পর বছর ধরে এদেশে যতগুলি বধূ নির্যাতনের মামলা হয়, তার প্রায় চোদ্দো আনা ক্ষেত্রেই অভিযোগ প্রমাণ করা যায় না। বেশির ভাগটাই নাকি ভুয়ো! স্বামী আর শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে অপদস্থ করার কৌশল। অথচ ১৯৮৩ সালে এই আইনের জন্মই হয়েছিল বরপক্ষের দাঁত-নখ থেকে গৃহবধূদের রক্ষা করতে। আইনি পরিভাষায় ৪৯৮এ ‘অ-জামিনযোগ্য’, অর্থাৎ, আদালতে হাজিরা না দিলে জামিনের আবেদন করা যায় না। এবং ‘কগনিজেবল’, অর্থাৎ কিনা অভিযুক্তকে জেলে পুরতে হলে আদালতের নির্দেশ বা নিদেনপক্ষে কোনও প্রাথমিক তদন্ত কিংবা ওয়ারেন্টেরও ধার ধারতে হয় না পুলিশকে। এর সুযোগ নিতে শুরু করেন অনেকে। শেষপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টকে রায় দিতে হয়েছে, অভিযোগ পাওয়ামাত্রই পুলিশ আর তৎক্ষণাৎ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে না। দেশের বহু হাইকোর্টেও বার বার সমালোচিত ৪৯৮এ-র ক্রমবর্ধমান এই অপব্যবহার। মঙ্গলবারও এক শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, অপব্যবহার করা হচ্ছে ৪৯৮এ-র।
দিল্লির পুরুষ অধিকারকর্মী বর্খা ত্রেহান এই বিষয়ে বলেন, ''অতুল সুভাষই প্রথম নন, দেশের লক্ষাধিক পুরুষ এর শিকার। ব্যর্থ হয়েছে বিচারব্যবস্থা। দেশের আইনে পক্ষপাতিত্ব রয়েছে অনেক। শুধু মহিলাদের কথা শোনা হয়। পুরুষরা নিপীড়িত হন। কেউ তাঁদের আর্তি শোনেন না।'' তিনি আরও বলেন, ''বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ইচ্ছাকৃত ভাবে পুরুষদের বিরুদ্ধে ৪৯৮এ ধারায় মামলা করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ বলছে, এর মধ্যে ৯৫ শতাংশ মামলাই মিথ্যে।''
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৮৫ এবং ৮৬ নম্বর ধারা ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৪৯৮এ-র সমরূপ। এ বছর মে মাসে একটি মামলার শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে এই আইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার আবেদন জানিয়েছিল। ৪৯৮এ মহিলাদের স্বার্থে তৈরি হলেও দেশের পুরুষদের স্বার্থে সেই অর্থে কোনও আইন নেই দেশের সংবিধানে। এই ধরনের আইন একটি ধারণার জন্ম দেয় যে, পুরুষরা সর্বদা দোষী, অন্যদিকে মহিলারা সর্বদা নির্দোষ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শুধুমাত্র মহিলারা নন, পুরুষরাও গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ দেশের সকল নাগরিকদের সমান আচরণের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। অনুচ্ছেদ ১৫ অনুযায়ী, ধর্ম-জাতি-লিঙ্গ-বর্ণ বা জন্মস্থানের উপর ভিত্তি করে কোনওরকম বৈষম্য নিষিদ্ধ। এর ফলে বর্তমান আইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন, যেখানে লিঙ্গভেদে সকলে সমান বিচার পান।
#498A#IPC498A#BNS#SupremecourtofIndia# BharatiyaNyayaSanhita# Atulsubhashcase
বিশেষ খবর
নানান খবর

নানান খবর

পড়ুয়াদের জন্য বড়সড় সুযোগ নিয়ে এলো দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, হন্যে হয়ে নিজেদেরকে খুঁজতে হবে না চাকরি ...

'আপদ মুক্ত দিল্লি', রাজধানীতে বিজয়ের পর হাসতে হাসতে দাবি মোদির, কেজরিওয়ালকে দিলেন বড় হুঁশিয়ারি! ...

দাম্পত্য কলহে চরমে! বউয়ের নামে কেনা বাইক দিয়ে ট্রাফিক রুল ভাঙছেন স্বামী! তাজ্জব পুলিশ...

হোলির আগেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর, জেনে নিন কারণ...

ছেলের বিয়েতে অনন্য উদাহরণ রাখলেন গৌতম আদানি, ১০ হাজার কোটি দান করলেন সামাজিক কাজে...

কানাডা থেকে আসামে এসে ধর্মপ্রচার, দেশে পাঠিয়ে দিল পুলিশ...

মাকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে বাবা', ভিডিও কলে দিদিমাকে জানাল চার বছরের মেয়ে! তারপরের ঘটনা ভয়ঙ্কর...

চলতি মাসেই মোদি-ট্রাম্প মুখোমুখি, নজরে আমেরিকার অভিবাসন নীতি ...

বেদনায় কাতর প্রসূতি, এরপর ট্রেনেই প্রসব...

মাল ডেলিভারির বাইক বুকিং করে অফিস যাত্রা, যানজট এড়ানোর উপায় বাতলাচ্ছেন যুবক...

স্বামী-স্ত্রী বিরোধের কারণ জানলে হাসি পাবে, মামলা গড়ায় আদালতে! শেষমেষ কী পরিণতি? ...

একেই বলে প্রকৃত ভালবাসা, স্বামীকে বাঁচাতে ৪০ ফুট গভীর কুয়োয় ঝাঁপ মহিলার! ...

চাকরি করেও কি ৫ কোটি টাকা জমানো সম্ভব! উপায় বাতলে দিলেন গুরুগ্রামের এক ব্যক্তি...

জোমাটোর নাম বদল, বদলে গেল সংস্থার লোগো-ও

নার্সের অবাক কীর্তি, শিশুর গালে ক্ষত সেলাই না করে জুড়লেন ফেভিকুইক দিয়ে!...