আজকাল ওয়েবডেস্ক: সবুজ বাঁচাতে উলু ও শঙ্খধ্বনিতে নদীর পাড়ে ম্যানগ্রোভ পুজো। বুধবার সুন্দরবন দিবসে বসিরহাট মহকুমা প্রশাসনের অভিনব কর্মসূচি দেখা গেল হিঙ্গলগঞ্জে। এদিন প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে গ্রামবাসীরাও ম্যানগ্রোভ পুজোয় শামিল হলেন।
আয়লা ও আমফান দুই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীর পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার বিপুল সংখ্যক ম্যানগ্রোভ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে চোরাকারবারীদের উপদ্রব। রাতের অন্ধকারে তারা নদীর পাড়ের গাছ কেটে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সবুজ বাঁচাতে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমা প্রশাসন বিশেষ কর্মসূচি শুরু করেছে। মিনাখাঁ, সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জের বিভিন্ন নদীর পাড়ে সবুজয়ান চলছে। নদীর পাড়ে বসানো হয়েছে বহু গাছ।
বুধবার ছিল সুন্দরবন দিবস। সবুজ বাঁচাতে এদিন প্রশাসন এক বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করে। হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ম্যানগ্রোভ পুজো শুরু হয়। গাছের গায়ে নতুন গামছা বেঁধে শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে পুজো দেওয়া হয়। নদীপক্ষে ভাসমান জেটির ওপরেও সুন্দরবন দিবস উদযাপন হয়েছে। পরিবেশ সচেতনতামূলক বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে পড়ুয়ারা রাস্তায় পদযাত্রা করে। ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি তাতে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। ওই কর্মসূচিতে ছিলেন বসিরহাটের মহকুমা শাসক আশিস কুমার, হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও দেবদাস গঙ্গোপাধ্যায় ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শহিদুল্লাহ গাজি। ব্লকের অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন।
বিডিও বলেন, 'ম্যানগ্রোভ হল সুন্দরবনের পরিচয়। ম্যানগ্রোভ বাঁচলে সুন্দরবন বাঁচবে। তাই সবুজ রক্ষার ব্রত নিয়ে আমরা বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। স্থানীয় বাসিন্দারা ম্যানগ্রোভ পুজো করেছেন। পরিবেশ রক্ষার সচেতনতামূলক বার্তা দিতে আমরা সকলকে নিয়ে রাস্তায় পদযাত্রা করেছি। তাতে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও ছিলেন। সুন্দরবনের সবুজ রক্ষায় আমাদের সংকল্প। গাছ কাটতে দেব না। বিভিন্ন নদীর পাড়ে আরও বেশি করে আমরা ম্যানড্রোভ রোপন করব।'
