মিল্টন সেন,হুগলি : "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আমাকে দলে যোগদান করিয়েছেন। এটা আমার কাছে খুবই সম্মানের। সামান্য কিছু মত পার্থক্যের জন্য কিছুদিন আলাদা ছিলাম। রাজনীতির লোক তো আমি নই। তারপর কি হবে, সময় বলবে 'জাস্ট ওয়েট এন্ড সি," তৃণমূলের যোগদান করার পর মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।

 

সোমবার রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করেন প্রবীর বাবু। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার কিছু কথা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রবীর ঘোষাল দীর্ঘদিনের সাংবাদিক। অনেকদিন ধরেই লেখেন। আমাদের দলের বিধায়কও ছিলেন। তাকে আবার কাজ করতে বলা হল। উত্তরপাড়া বিধানসভা থেকে ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করে জয়লাভ করেন। বিধায়ক হন প্রবীর ঘোষাল।

 

পাঁচ বছরের মেয়াদের শেষ দিকে দলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। গত ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি কোন্নগর সুইমিং পুলে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল ছেড়ে দেন। পরে উত্তরপাড়া বিধানসভা থেকেই তিনি বিজেপির হয়ে লড়াই করে কাঞ্চন মল্লিকের কাছে পরাজিত হন। তারপর থেকেই ক্রমশই বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে।

?ref_src=twsrc%5Etfw">December 10, 2024

 

টানা কিছুদিন রাজনীতি থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছিলেন প্রবীর বাবু। তবে স্থানীয় পুরসভার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যেত।আবার তিনি তাঁর পুরনো দলে ফিরলেন।

 

দলে যোগ দেওয়ার পর এদিন কোন্নগরের বাড়িতে ফিরে প্রবীর ঘোষাল বলেন, এটা তাঁর কাছে বিরাট বড় গিফট। তিনি তো খুব একটা বড় রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তৃণমূল নেত্রী ভালোবেসে তাঁকে বিধায়ক করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে কিছু মতবিরোধের কারণে তাঁকে দল ছাড়তে হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। মাত্র কয়েকটা মাস একটু কথা হয়নি। বাকি সবই ঠিক আছে। উনি অনেকদিন ধরেই আমাকে যোগদান করার কথা বলছেন।

 

 প্রবীর বাবু আরও বলেছেন, তাঁকে আপাতত কোনও দায়িত্ব দেওয়া হবে নাকি সেই বিষয়ে বুধবার তৃণমূল ভবনে বৈঠকের জন্য তাঁকে ডাকা হয়েছে। সেখানে কিছু আলোচনা হবে। তবে তাঁর দলে যোগদান করায় স্থানীয় রাজনৈতিক জগতের লোক এবং উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের সকলেই খুশি।

 

 উত্তরপাড়া আসার পর থেকে বহু ফোন তিনি পেয়েছেন। তবে আগামী দিনে জেলা রাজনীতিতে তাঁকে দেখা যাবে নাকি, সেটা এখনই তিনি বলতে পারছেন না। তিনি রাজনীতির লোক নন, বাকি সময় বলবে "জাস্ট ওয়েট এন্ড সি"।