আজকাল ওয়েবডেস্ক: কাজ করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ব্যাঙ্ককর্মী। সেই ঘোরে আঙুলের চাপে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ১৯৮৬ কোটি টাকা! শুনে চমকে উঠলেও এটাই ঘটেছে বাস্তবে। ঘটনাটি জার্মানের। 

 

 

ঠিক কী ঘটেছিল? ব্যাঙ্ককর্মী লাগাতার কাজের চাপে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। চোখ একটু লেগে আসায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কাজের জায়গাতেই। কী-বোর্ডের ওপর মাথা রেখে শুয়েছিলেন তিনি। আঙুলের চাপ পড়ে যা পাঠানোর কথা ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা চলে যায় এক গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। ওই অ্যাকাউন্টে পাঠানোর কথা ছিল সে দেশের মুদ্রার হিসেবে ৬৪.২০ ইউরো। কিন্তু কম্পিউটারে কীবোর্ডের দুই সংখ্যার বাটনে চাপ পড়ে যায়। ফলে ২২২,২২২,২২২.২২ ইউরো বা ২২২ মিলিয়ন ইউরো চলে যাচ্ছিল গ্রাহকের কাছে। ভারতীয় মুদ্রার হিসেবে সংখ্যাটা প্রায় ১৯৮৬ কোটি টাকা। 

 

 

ব্যাঙ্কের অন্য এক কর্মচারীর নজরে আসে বিষয়টি। তিনি পুরো প্রসেস সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই এটিকে থামিয়ে দেন। অল্পের জন্য রক্ষা পায় ব্যাঙ্কের এই মারাত্মক ভুল হওয়া থেকে। ঘটনাটি ব্যাঙ্ক মালিকের কানে যায়। এই ঘটনার জন্য ওই কর্মীকে ব্যাঙ্ক থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে ওই কর্মীকে ব্যাঙ্কে পুনর্বহালের  রায় দেয়। মামলার রায় দিতে গিয়ে আদালতের মন্তব্য, প্রতিদিন শত শত লেনদেন করার জন্য ওই ব্যক্তিকে অনেক চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়। ওই দুর্ঘটনার দিনও তিনি ব্যাঙ্কের মোট ৮১২টি নথি পরীক্ষা করেছিলেন এবং প্রতিটি নথি খুঁটিয়ে দেখার জন্য ওই ব্যক্তি মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় ব্যয় করেছিলেন। সমস্ত তথ্য আপডেট নির্ভুলভাবে করেছিলেন। কাজের ফাঁকে ক্লান্তিবশত একটা ভুল হতে যাচ্ছিল। তাও সেটা রক্ষা পেয়েছে। রোজ নির্ভুল কাজের জন্যই ওই ব্যক্তির চাকরি যাওয়া উচিত নয়। 

 


ঘটনাটি ২০১২ সালের। সম্প্রতি এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসে। অনেকেই ওই কর্মীর প্রতি সহানুভূতি জানান।