আজকাল ওয়েবডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। দমন-পীড়ন চলছে সংখ্যালধুদের উপর। বিশ্বের কাছে মুখ পুড়ছে বাংলাভাষী ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের। সংখ্যালঘুদের প্রতিবাদ মাথাচাড়া দিয়েছে চট্টগ্রাম থেকে। এই চট্টগ্রামই আবার বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার মুহাম্মদ ইউনূসের নিজের জেলা। ফলে এই সংখ্যালধুদের বিক্ষোভ বেশ অস্বস্তির এই নোবেলজয়ীর কাছে।

সদা হাস্য়ময় ইউনূস পেয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার। বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে তিনিই দেশের প্রধান। আর তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলেই নির্যাতিত বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুরা। কীভাবে এমন সম্ভব? এই প্রশ্নেই এখন সবার মুখে। অভিযোগ, মুহাম্মদ ইউনূস পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন-পীড়নে উৎসাহ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে পুলিশকে নাকি ইউনূস বলেছেন, "আমার নিজ শহরে সংখ্যালঘুদের বিক্ষোভ দমন করুন"। প্রশাসক ইউনূসের সেই আবদারই অক্ষরে অক্ষরে নাকি পালন করছেন চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ।

ইউনূসের নেতৃত্বাধীন শাসনাকালেই চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন হাসিব আজিজ। বাংলাদেশের বন্দর শহর থেকে হিন্দুদের তাড়ানোর মূল পরিকল্পনাকারী তিনি বলেই জোর গুঞ্জন। ইউনূস সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক হিংসার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সংখ্যালঘুদের সমাবেশ দেখা গিয়েছে।

চট্টগ্রামের হিন্দুদের অভিযোগ, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হলেই নির্বিচারে আটক করা হচ্ছে। কট্টর ইসলামপন্থীরা সংখ্যালঘু সমাবেশ নিয়ে প্রকাশ্যে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। কিন্তু আজিজের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন যেন সব দেখেও নীরব। উল্টে সংখ্যালঘুদেরই নির্যাতন চলছে আজিজের নির্দেশে।

গত ২৬ নবেম্বর শুধুমাত্র চট্টগ্রামেই হিন্দুদের বিরুদ্ধে দু'টি মামলা হয়েছে, এক্ষেত্রে পুলিশ নাকি ২৫০-৩০০ জনকে খুঁজছে। কেস ডায়েরি অনুসারে ৪০০-৫০০ জনকে খুঁজছে। একইভাবে, ২৭ নভেম্বর, দু'টি মামলা হয়েছে। যার একটিতে, পুলিশ ৬০০-৭০০ জনকে খুঁজছে এবং অন্যটিতে, ৩০০-৪০০ জনকে খুঁজছে। বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের জন্য হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস বলেছে, "এই মামলাগুলির বেশিরভাগই বিচার বহির্ভূত, বেআইনি, মানবাধিকার এবং সংখ্যালঘু অধিকারের আন্তর্জাতিক নিয়মের পরিপন্থী এবং সমাজের দুর্বলতার প্রকাশ।"