আজকাল ওয়েবডেস্কঃ উত্তুরে বাতাস বার্তা কিছুদিন ধরেই দিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে আপনার সন্তানের খুশখুশে কাশি, নাক বন্ধ ও জল পড়া বা ভোরের দিকে গলা ব্যথা শুরু হয়েছে। ঋতু পরিবর্তনের সময় এসব তো হবেই। শীত পড়ার আগেই একটু সাবধান হন। বাড়ির খুদেটির রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখুন আমলকী। আমলকী খাওয়ানোর এই নতুনত্ব পন্থায় তারাও খাবে খুশি মনে। কীভাবে বানাবেন জানুন। 

টাটকা আমলকী এখন বাজারে সর্বত্রই পাওয়া যাচ্ছে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পরিমাণে আমলকী নিয়ে এসে ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। সব আমলকীগুলোকে মিহি করে কুড়িয়ে নিন। একটি পাত্রে ছড়িয়ে দিন। ২-৩ দিন ভাল করে রোদে রাখুন। শুকিয়ে গিয়ে রং পরিবর্তন হলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। আপনার আপনার আমলকীর পাউডার তৈরি। একটি কন্টেনারে ভরে রাখুন। রোজ আপনার সন্তানকে সকালে ব্রেকফাস্টের পর‌‌‌ এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ এই আমলকীর পাউডার মিশিয়ে খাইয়ে দিন। 

আমলকীতে উপস্থিত ভিটামিন সি রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনা, ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা ইত্যাদি অসুখ আমলকী সেবনে সারে। আমলকী শরীর ঠান্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং পেশি মজবুত করে। আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে। দূর করে গ্যাস ফলে আপনার সন্তানের অ্যাসিডিটির সমস্যাও নিরাময় হয়। আমলকী আপনার বাচ্চার চোখ ভালো রাখতে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের যত্ন নেয়। ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবিটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কোলেস্টেরল লেভেল কমায়। প্রতিদিন আমলকীর রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয়, দাঁত শক্ত থাকে। আমলকীর স্বাদ মুখের রুচি ও স্বাদ বাড়ায়।