আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের পিঁড়িতে পা রাখার আগেই তোলপাড় কাণ্ড। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলার টিলা মোড় থানার সিঙ্কারপুর রোডের একটি ব্যাঙ্কোয়েট হলে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বিয়ের পিঁড়িতে পা রাখার আগে মাদক সেবন করতে গিয়ে ধরা পড়ল পাত্র। ভেঙেই গেল গোটা বিয়ে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা অনুষ্ঠান। অবশেষে বরযাত্রীদের কনে ছাড়াই ফিরে যেতে হয়। কনের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পাত্র, তাঁর ভাই, বোন এবং কাকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

 

 

 

কনের মা জানিয়েছেন, গান্ধীনগরের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের জন্য ২.৫ লক্ষ টাকায় ভাড়া করা হয় ওই ব্যাঙ্কোয়েট হল। ৪৫০ জন অতিথির খাবারের আয়োজন করা হয়। বিয়ের দিন বরযাত্রীরা যথাসময়ে ওই ব্যাঙ্কোয়েট হলেও পৌঁছন। নিয়ম অনুযায়ী পাত্রকে একটি সোনার চেন, সোনার আংটি, একটি স্মার্ট ওয়াচ এবং ৫১ হাজার টাকা দেওয়া হয় কনের পরিবারের তরফে। তার পর একে এক বিয়ের বিভিন্ন আচার শুরু হওয়ার পালা। মালাবদলের প্রস্তুতি চলছিল তখন। হঠাৎই মঞ্চ থেকে উধাও হয়ে যান পাত্র। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখা যায়, বন্ধুদের সঙ্গে মঞ্চের পেছনে লুকিয়ে মাদক সেবন করছেন তিনি। ধরা পড়ে গিয়ে বাথরুমে যাওয়ার অজুহাত দেন তিনি।

 

 

 

অনুষ্ঠানে ফিরে এসে বারবার তাঁকে পিছন দিকে যেতে দেখা যায়। কনের পরিবারের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পিছু নেন। সেই সময়ই দেখা যায় পাত্র বাথরুমে ঢুকে মাদক সেবন করছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বিয়ের অনুষ্ঠানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কনের পরিবারের সিদ্ধান্তে ভেঙে যায় গোটা বিবাহ। কনের পরিবারের দাবি, বরের পরিবার বিয়ের সময় ১০ লক্ষ টাকা পণ দাবি করেছিল। কনের মা জানান, বিয়ের জন্য তিনি ১৫ লক্ষ টাকা ধার করেছিলেন। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ফলে তিনি আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি মানসিক চাপে রয়েছে পরিবারও। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।