আজকাল ওয়েবডেস্ক: সময় ভালো যাচ্ছে না শিরোমণি অকালি দলের নেতা সুখবীর বাদলের। চাপে মুখে গত মাসের মাঝামাঝি দলের দায়িত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এবার বড় শাস্তির কোপে সুখবীর। পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুখবীর বাদলকে অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দির সহ বেশ কয়েকটি গুরুদ্বারের রান্নাঘর এবং শৌচালয় পরিষ্কার করার নির্দেশ দিল শিখদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা অকাল তখত। আগামী ৩রা ডিসেম্বর (বুধবার) দুপুর ১২ থেকে ১টা পর্যন্ত স্বর্ণ মন্দিরের শৌচাগার সাফা করবেন সুখবীর। তারপরই লঙ্গর প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়েছে অকাল তখতের তরফে।
কেন এই শাস্তি প্রভাবশালী অকালি নেতা সুখবীরকে? ২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বাবা প্রকাশ সিং বাদলের মন্ত্রিসভায় পাঞ্জাব সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সুখবির বাদল। সেই সময়ই 'ডেরা সাচা সৌদা'র প্রধান গুরমীত রাম রহিম পবিত্র গ্রন্থসাহিবকে অপমান করেছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই সময় রাম রহিমের পাশেই ছিলেন সুখবীর। যা শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের ধর্মীয় ভাবাবেগে প্রবল আঘাত করেছিল বলে অভিযোগ। শিখদের স্বার্থ বিরোধী সেই কাজের অভিযোগে সুখবীরকে তনখাইয়া বা বিধর্মী ঘোষণা করেছিল শিখ ধর্মের সর্বোচ্চ সংস্থা অকাল তখত। আর সোমবার সেই অপরাধের শাস্তি বিধান হল।
সুখবীর বাদল তাঁর কৃত কর্মের জন্য নিঃশর্তভাবে ভুল স্বীকার করলেও তাঁকে রেয়াত করতে নারাজ অকাল তখত। শেষপর্যন্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া শাস্তির নিদান দিয়েছে শিখদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা।
পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত প্রকাশ সিং বাদলও এর আগে শাস্তির মুখে পড়েছিলেন। শিখ সম্প্রদায়ের সেবার জন্য প্রকাশ সিং বাদলকে ২০১১ সালে 'ফখর-ই-কওম' (শিখ সম্প্রদায়ের গর্ব) সম্মান দেওয়া হয়েছিল। যা পরে কেড়ে নেওয়া হয়। সোমবার শুরুতেই, শিখদের পাঁচজন ধর্মীয় যাজক সুখবীরের শাস্তি নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন অকাল তখতের জথেদার জিয়ানি রঘবীর সিং। তিনিই সুখবীর বাদলের শাস্তি ঘোষণা করেন। এর আগে জথেদার জিয়ানি রঘবীর সিং-ই শিরোমণি অকালি দলের ওয়ার্কিং কমিটিকে দলীয় প্রধান হিসেবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাদলের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে এবং ছয় মাসের মধ্যে দল পুনর্গঠনের জন্য একটি প্যানেল গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সুখবীর বর্তমানে চলাফেরা করতে পারেন না। হুইলচেয়ারেই অন্যত্র যেতে হয় তাঁকে। দলের সভাপতি পদ খোয়ালেও অবশ্য সুখবীর সিং এখনও শিরোমণি অকালি দলের কোর কমিটির সদস্য।
