আজকাল ওয়েবডেস্কঃ চোখের নীচে ফোলা ভাব, কালি এসব বয়সের আগেই দেখা যায়। বলিরেখা এবং ব্রনর দাগও স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে। মুখে বয়সের ছাপ পড়ে গিয়েছে তবে চিন্তার কিছু নেই। মাত্র এক মাসে ঘরোয়া উপায়ে এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কীভাবে তৈরি করবেন এই ফেসপ্যাক জেনে নিন।
একটি গোটা আলুকে গ্ৰেট করে নিন। ঘষে নেওয়া আলু থেকে নিংড়ে রস বের করে নিন। এতে এক চামচ করে কফি পাউডার ও হলুদগুঁড়ো নিন। ভাল মতো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখের সমস্ত অবাঞ্ছিত দাগ, পিগমেন্টেশন ও ডার্ক সার্কেলের উপর লাগিয়ে রাখুন আধঘন্টা। শুকিয়ে গেলে ঈষৎ উষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা এক নিমিষেই ফিরে আসবে।
আলুর মধ্যে ব্লিচিং এজেন্ট রয়েছে, যা ডার্ক সার্কেলকে হালকা করতে সাহায্য করে। চোখের নিচে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন আলুকে। ত্বকের রক্তনালিকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়। নিয়মিত এই টোটকা মানলে চোখের নিচের কালি দূর হয়ে যাবে। অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এই ফেসপ্যাক ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে, প্রদাহ কমায় এবং ত্বকের নষ্ট হয়ে যাওয়া কোষকে নতুন করে তৈরি করে। এই ফেসপ্যাক আপনাকে নিখুঁত ত্বক এনে দিতে পারে। আলুর মধ্যে এনজাই ও ভিটামিন রয়েছে যা সানবার্ন থেকে মুক্তি দেয় এবং ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। যে অংশ রোদে পুড়ে গেছে তার ওপর ঠান্ডা আলুর রস লাগান। আলুর স্লাইসও কিছু রেখে দিতে পারেন। এটি ত্বকের কোষ পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে ও পাশাপাশি ত্বকের প্রদাহ কমায়।
কফিতে ভরে ভরে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। সঙ্গে আছে অ্যান্টি-এজিং। তাই কফি দিয়ে ত্বকের যত্ন নিলে সহজে চামড়া ঝুলে যায় না। ত্বক থাকে টানটান ও সতেজ। এদিকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ত্বকের ফোলাভাবও কমায় কফি। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক পেতে সাহায্য করে এই ঘরোয়া উপাদানই। ভিতর থেকে এক্সফলিয়েট করে এবং মৃত কোষ দূর করতেও সাহায্য করে কফি।
পলিফেনল, স্টেরল এবং অ্যালকালয়েডের মতো একাধিক উপকারী উপাদান রয়েছে। তাছাড়া এটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টেও ঠাসা। যে কারণে নিয়মিত হলুদ লাগালে ত্বকের ভিতর জমে থাকা টক্সিন বেরিয়ে যায়। ফলে উপকার মেলে হাতেনাতে।
