আজকাল ওয়েবডেস্ক: অবশেষে পুলিশের জালে বেঙ্গালুরুর প্রেমিকা খুনে অভিযুক্ত প্রেমিক। কর্ণাটক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। ধৃতের নাম আরভ হার্নি।
 
 ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, নিহত ওই তরুণীর নাম মায়া গগৈ। তিনি ছিলেন পেশায় একজন ভ্লগার। সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্র ধরে তাঁর পরিচয় হয় আরভ হার্নির সঙ্গে। বছর ১৯ শের ওই তরুণীর বাড়ি অসমে। কাজের সূত্রে তিনি থাকতেন বেঙ্গালুরুতে। বাড়িতে বলেছিলেন, রাতে পার্টি আছে বন্ধুদের সঙ্গে, তাই তিনি ফিরবেন না। এরপর তিনি ওই যুবকের সঙ্গে বেঙ্গালুরুর একটি হোটেলে গিয়ে ওঠেন। তিনদিন পর সেখান থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। খোঁজ মিলছিল না তাঁর সঙ্গীর। 
খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে সিসিটিভি চেক করতে গিয়ে দেখে, শনিবার ২৩ নভেম্বর দু'জনে একসঙ্গে হাসতে হাসতে প্রবেশ করেছেন হোটেলে। তারপর তিনদিন তাঁরা সেখানেই ছিল। প্রথমে পুলিশ অনুমান করে সোমবার প্রেমিকাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ওই যুবক। এরপর গোটা দিন ওই ঘরেই ছিল যুবক। মঙ্গলবার সকালে সে হোটেল থেকে বেরোয়। হোটেলের ঘরে রাখা বালিশ আর কম্বল থেকে রক্তের দাগ উদ্ধার হয়েছে। তদন্ত এগোতেই উঠে আসে হাড়হিম করা তথ্য। ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করার পর প্রেমিকার দেহের সঙ্গে একদিন নয়, দু’দিন কাটিয়েছে ওই যুবক। মৃতদেহের সামনেই খেয়েছে একের পর এক সিগারেট। তারপর ঠান্ডা মাথায় ঘর থেকে বেরিয়ে কিছুদূর গিয়ে ফোন বন্ধ করে দেয় যুবক।
হোটেলের কর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ২৩ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া ওই অ্যাপার্টমেন্টে আর কেউ আসেননি। ২৬ তারিখ সকালে হোটেলের ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকায় হোটেলের কর্মীরাই পুলিশে খবর দেন। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। তাঁরা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে তদন্ত শুরু করে। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ে অভিযুক্ত। তাকে জেরা শুরু করেছে পুলিশ। খুন করার পর দু’দিন মৃতদেহের সঙ্গে বাসের পিছনে ঠিক কী পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তের তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেহ টুকরো টুকরো করে অন্য কোথাও ফেলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না বেঙ্গালুরু পুলিশ।
