আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্কুল থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না কেজি ওয়ানের ছাত্রীর। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার স্কুল ছুটির পর ফিরছিল সকলে। কিন্তু ফেরা হল না একরত্তির। হঠাৎই এক ইঞ্জিন ভ্যান ধাক্কা মারে মারুতি ভ্যানে। ভ্যান যায় তুবড়ে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। শুক্রবার বিকেলে মর্মান্তিক ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই শোকের ছায়া আমতা এলাকায়।
মৃত ওই শিশু ইশা কোলে আমতা-২ ব্লকের হানিধাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ঠিক কী ঘটেছিল? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবানীপুরের একটি কেজি স্কুলে পড়াশোনা করে হানিধাড়া সহ একাধিক এলাকার পড়ুয়ারা। শুক্রবার ছুটির পর শিশুদের মারুতি ভ্যানে চাপিয়ে প্রতিদিনের মতো ফিরছিলেন চালক। উদয়নারায়ণপুর-সেহাগড়ি সড়কে খড়িবন এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইঞ্জিন ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে মারুতি ভ্যানে। দুমড়েমুচড়ে যায় ভ্যানের ডান দিকের অংশ। আহত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। চিৎকারজুড়ে দেয় তারা। সেই আওয়াজ শুনে তাদের উদ্ধারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তখনই বছর ছয়েকের ঈশা কোলে নামে এক শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। তাঁকে নিকটবর্তী বরদা নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। ওই মারুতি ভ্যানে মোট ১৪ জন শিশু ছিল। মুহুর্তে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ছুটে আসেন অভিভাবকেরা। অন্যান্য আহত শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়ি নিয়ে যান তাঁরা।
কিন্তু ইশা কোলের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক ছিল। তাকে রেফার করা হয় কলকাতায়। সেই যাত্রাপথেই মৃত্যু হয় শিশুটির। শনিবার শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে উলুবেড়িয়া মর্গে। ময়নাতদন্ত হয়ে গেলে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
