জয়ন্ত ঘোষাল


শুক্রবার একাধিক শিল্পপতি এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সৌজন্য সভাগৃহে বিশেষ বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। জানা গিয়েছে. বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের প্রস্তুতি নিয়েই এদিন এই বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ছাড়া এদিন এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্যাথি গিলস ডিয়াজ। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গ বর্তমানে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত রাজ্য। এখানে বিনিয়োগের আবহ রয়েছে যে কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী।

 

 

কিছুদিন আগেই মার্কিন মুলুকে বড়সড় রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে। জো বাইডেনকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে বিজিবিএসের আগে এই আশ্বাস বাংলার জন্য আশাব্যাঞ্জক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাপান, জার্মানির মত দেশের প্রতিনিধিরা। তাঁরা রাজ্যে লগ্নির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের শিল্পপতিদের মধ্যে ছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হর্ষ নেওটিয়া, প্রসূন মুখার্জি, রুদ্র চ্যাটার্জি, ইমামি গোষ্ঠী। এদিন শিল্পপতিদের মধ্যে প্রথম বক্তা ছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ বিনিয়োগ এবং কাজের জন্য সবথেকে ভাল একটা প্ল্যাটফর্ম। পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্র করেই আমার দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা রয়েছে’। 

 

 

সিঙ্গাপুর থেকে প্রসূন মুখার্জিও জানান, বাংলায় একটা স্থায়ী সরকার রয়েছে। যে কারণে এখানে বিনিয়োগের একটা উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। উপস্থিত ছিলেন, টেকনো ইন্ডিয়ার গ্রুপের ডিরেক্টর সত্যম রায়চৌধুরীও। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রের প্রসারের জন্য বড় অবদান রয়েছে তাঁর। ছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আমার খেলাধূলাতে আগ্রহ। কিন্তু বাবা আমাকে ব্যবসা করতে বলেছিলেন অনেকবার। এখানে উপস্থিত ব্যবসায়ীদের মধ্যে আমি নবাগত। আমি এখন বাংলায় একটা স্টিল ফ্যাক্টরি করতে চাইছি। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে’।