আজকাল ওয়েব ডেস্ক:  শীতকালে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়৷ বাদ যায় না স্ক্যাল্পও৷ বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকায় স্ক্যাল্পও রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে ওঠে। ফলে কম বেশি সবার মাথাতেই খুশকির সমস্যা শুরু হয়৷ আর একবার কোনও কারণে খুশকি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে শীত চলে গেলেও পিছু ছাড়ে না খুশকি৷ তাই বিশেষত শীতকাল আসার আগেই খুশকি প্রতিরোধে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। অনেকেই খুশকি তাড়াতে নামীদামি শ্যাম্পু মাখেন। তবে রোজকার জীবনে কয়েকটি ভুল করলে কিন্তু খুশকি থেকে সহজে মিলবে না রেহাই।জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে-

শীতকালে গরম জলে স্নান করার প্রবণতা বাড়ে। কিন্তু অতিরিক্ত গরম জল মাথায় ঢাললে চুল ও স্ক্যাল্পের আদ্রর্তা নষ্ট হয়ে যায়। তাই ভুল ভাল রাখতে ঈষৎউষ্ণ জলে স্নান করার চেষ্টা করুন।

চুলে যত কম স্টাইলিং প্রডাক্ট ব্যবহার করবেন, ততই ভাল। চুল ও স্ক্যাল্পের যত্নে সঠিক পণ্য ব্যবহার করা জরুরি। সালফেট বা ক্ষারের পরিমাণ বেশি এমন পণ্য এড়িয়ে চলুন। এগুলি স্ক্যাল্প ও চুলের প্রাকৃতিক তেলকে নষ্ট করে দেয়।

খুশকি এক ধরনের ফাংগাল ইনফেকশন। বিশষেজ্ঞদের মতে, মাথায় তেল এটি ক্রমশ আরএ বাড়ে। খুশকি অতিরিক্ত বাড়লে ব্লক হয়ে যায় হেয়ার রুট। তাতে হুড়মুড়িয়ে চুল তো পড়েই, কিন্তু রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে নতুন চুলও গজায় না।

শীতকালে জল খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। কিন্তু জল শুধু শরীরের অন্যান্য কার্যকারিতার জন্য ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও জরুরি। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে শরীর ভিতর থেকে হাইড্রেট থাকবে। 

শীতকালে ডায়েটের দিকেও নজর দিতে হবে। মাথার ত্বক ভাল রাখতে অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার, পানীয় এবং ভাজাভুজি খাওয়া থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। সঙ্গে নিয়মিত খেতে হবে সামুদ্রিক মাছ, ফ্ল্যাক্সসিড, আখরোটের মতো ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার। 

মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজার রাখতে ভিটামিন বি এবং জিঙ্কেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। মাথায় খুশকি হওয়ার অন্যতম কারণ ত্বকে আর্দ্রতার অভাব। শুধু জল কিন্তু সেই অভাব পূরণ করতে পারে না। তাই সংশ্লিষ্ট ভিটামিনের অভাব হচ্ছে কিনা পরীক্ষা করে দেখে নিন। 

অতিরিক্ত মদ্যপান করলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। সেই কারণে দেহের অন্যান্য অংশ তো বটেই, মাথার ত্বকও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। ফলে মাথার ত্বকে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়।