আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইএএস অফিসার অমিত কাটারিয়া। দেশের সবচেয়ে ধনীর সিভিল সার্ভেন্টস তিনিই। তাঁর সম্পত্তি কোটি কোটি টাকার, অথচ বেতন নেন মাত্র এক টাকা। জানুন তাঁর সম্পর্কেই।
সিভিল সার্ভিস এক্সামিনেশন অর্থাৎ সিএসই-এর মতো কঠিন পরীক্ষা যাঁরা পাশ করেন, তাঁদের জার্নি সম্পর্কে এমনিতেই কৌতূহল থাকে সাধারণের। কেউ কেউ প্রশ্ন করেন ধৈর্য, অধ্যাবসায় নিয়ে। কেউ জানতে চান পড়াশোনায় কতটা সময় দিলে, হওয়া যাবে তাঁদের মতো। এসবের দিন পেরিয়ে ফের চর্চায় আইএএস অমিত কাটারিয়া। গুরুগ্রামের বাসিন্দাকে নিয়েই এখন আলোচনা।
বর্তমানে তাঁর কর্মক্ষেত্র ছত্তিশগড়। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গুরুগ্রামের অমিত আরকে পুরমের দিল্লি পাবলিক স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন, পরে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেছেন দিল্লি আইআইটি থেকে। আইআইটি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক হন। ২০০৩ সালে অমিত ইউপিএসসি পরীক্ষায় ১৮স্থান অধিকার করেন।
ঈর্ষণীয় পড়াশোনা, পরীক্ষার ফলাফলের পরেও তিনি আলোচনায় তাঁর মহৎ সিদ্ধান্তের জন্যও। জনগণের সেবাকে তিনি সবসময় রেখেছেন টাকার উপর। বেতন নেন মাত্র এক টাকা।
সেক্ষেত্রে প্রশ্ন থাকে, এক টাকা বেতন নেওয়ার পর, কীকরে সবচেয়ে ধনী আইএএস তিনি? অমিত সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে। দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে রিয়েল এস্টেটের বড় ব্যবসা পরিবারের। বিত্তবান পরিবারের অমিত কাটারিয়া সিভিল সার্ভেন্টস হিসেবে যোগ দিয়েই তাঁর বড় সিদ্ধান্তের জন্য সকলের নজর কাড়েন। সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অমিত বুঝিয়ে দেন, টাকা, বেতনের থেকে অনেক আগে তিনি রাখেন কাজের প্রতি, পদের প্রতি এবং মানুষের প্রতি তাঁর দায়িত্ববোধকে।
এর আগেও একবার তাঁকে নিয়ে জোর চর্চা হয়েছিল। সালটা ২০১৫, অমিত তখন ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলাশাসক। এলাকায় নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানানোর সময় তাঁর চোখে সানগ্লাস অর্থাৎ রোদ চশমা ছিল। তা সরকারি প্রোটোকল লঙ্ঘন বলে বিবেচিত। যদিও এসবকিছুর ঊর্ধ্বে, তাঁর কাজের জন্য তিনি জনগণের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। অমিতের স্ত্রী অস্মিতা, তিনি পেশায় একজন পাইলট। তথ্য, কাটারিয়ার মোট সম্পত্তি ৮.৯০ কোটি।
