সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেয়ারি টেল’ তথ্যচিত্র নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে চলছে দুই দক্ষিণী নায়ক-নায়িকার জোর তরজা। সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে নয়নতারা ও ধনুষের দ্বন্দ্ব। এবার আদালত পর্যন্ত গড়াল সমস্যা। অভিনেত্রী ও তাঁর স্বামী ভিগনেশের কাছে জবাব তলব করেছেন বিচারপতি।

 

অনুমতি ছাড়া ‘নানুম রাউডি ধান’ ছবির ফুটেজ নিজের তথ্যচিত্রে ব্যবহার করেছেন নয়নতারা, এমনই অভিযোগে সরব হয়েছেন ধনুষ। অন্যদিকে, নায়িকার দাবি, ওই নির্দিষ্ট ছবির ফুটেজ, গান ইত্যাদি ব্যবহারের জন্য ধনুশের কাছে অনুমতি চেয়েও পাননি। দিনের পর দিন এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন ধনুষ। কিন্তু আচমকাই ১০ কোটি টাকার আইনি নোটিস পাঠিয়ে দিয়েছেন। এহেন কাজিয়ার অবহেই তামিল অভিনেতা ও জনপ্রিয় ইউটিউবার অন্থনান দাবি করে বসলেন, নয়নতারার জন্যেই নাকি ধনুষ ও তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্যর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে! 

 

এক ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অন্থনান দাবি করেছেন, যেদিন থেকে ভিগনেশ শিবানের সঙ্গে নয়নতারা সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, সেদিন থেকেই সমস্যা ছিল ধনুষের! ধনুষ নাকি কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি এই সম্পর্ক। তাঁর প্রশ্ন ছিল, কী করে নয়নতারার মতো ইন্ডাস্ট্রির একজন প্রথম সারির অভিনেত্রী  ভিগনেশের মতো তথাকথিত এক ছোটখাটো পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারেন। ‘নানুম রাউডি ধান’ ছবির শুটিং চলাকালীন নয়নতারা ও ভিগনেশের ঘনিষ্ঠতা দেখে সমস্যা তৈরি করেছিলেন ধনুষ, জানিয়েছেন অন্থনান।

 

এখানেই দাবি থামেনি তাঁর। আরও জানিয়ে গিয়েছেন, নয়নতারা নাকি ধনুষের থেকে 'নানুম রাউডি ধান’ ছবির ফুটেজ ব্যবহার করার অনুমতি পুরোপুরি আনুষ্ঠানিক করার লক্ষ্যে অভিনেতার আপ্ত-সহায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাতেই নাকি আরও ক্ষিপ্ত হন ধনুষ। এসবের কিছুই নাকি হত না যদি নয়নতারা ব্যক্তিগতভাবে ধনুষকে ফোন করে একটিবার অনুরোধ করতেন। কিন্তু তিনি ওই পথে হাঁটেননি। ফলে, ধনুষও রাজি হননি। এরপরে কোনওভাবে তাঁকে রাজি কোরান তাঁর আপ্ত-সহায়ক। এবং তারপর নাকি গণ্ডগোল পাকান নয়নতারা-ই। কীভাবে 'জওয়ান'-এর নায়িকা নিজে ধনুষের অফিসে যাওয়ার বদলে দক্ষিণী-অভিনেতার আপ্ত-সহায়ককেই তাঁর অফিসে আসতে বলেন, যেখানে প্রয়োজনটা তাঁর নিজের। এরপরেই নাকি আর সামলানো যায়নি ‘রাঞ্ঝনা’র নায়ককে।