আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুভেন্দু গড়, আর সেখানেই হার গেরুয়া শিবিরের। বৃহস্পতিবার অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে বিজেপি পরিচালিত হৈপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই এলাকায় বিজেপির এই পরাজয় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত হৈপুর গ্রাম পঞ্চায়েততে মোট ২৩ জন পঞ্চায়েত মেম্বারের মধ্যে তৃণমূলের প্রতীকে জয়যুক্ত হন ১১জন ও বিজেপির প্রতীকে ১২ জন জয়যুক্ত হয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি। অভিযোগ চুরি ও দুর্নীতিতে অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অশোক সামন্তকে বেশ কয়েক মাস গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে দেখা যায়নি। কার্যত বেহাল অবস্থা তৈরি হয় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। বৃহস্পতিবার অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে সেই গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের পক্ষে ১১জন ও বিজেপি'র ১জন সদস্যর সমর্থনে ও পঞ্চায়েত সমিতির ৩জন সদস্যের মধ্যে ১জনের সমর্থনের পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির একজন মেম্বার উপস্থিত হলেও বাকি সকলে অনুপস্থিত। ফলে অনাস্তার পক্ষে তৃণমূলের ১১ জন, বিজেপির ১জন ও পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে ১জন মেম্বারের সমর্থনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে তৃণমূল। ভোটাভুটির মাধ্যমে স্থায়ী সমিতির ভেঙে যায়।
এই জয়ে নতুন করে উচ্ছাসে মেতে উঠে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। বিশৃঙ্খলা এড়াতে কাঁথি থানার আই.সি'র উপস্থিতিতে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মাধ্যমে সম্পন্ন হয় এই ভোট। বিজেপি ছাত্রনেতা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে।
