আজকাল ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে আলমারি থেকে একে একে শীত বস্ত্র বেরোতে শুরু করেছে। যদিও এতদিন ভোরের দিকে কিংবা রাতের দিকে হালকা শীত বস্ত্রতেই কাজ চলে যাচ্ছিল। এবার চাদর, মাফলার, সোয়েটারের প্রয়োজন পড়তে চলেছে বলেই মনে হচ্ছে। যদিও এই শীতের স্থায়িত্বও খুব কম। সুতরাং, শীতের ফ্যাশান যেটুকু উপভোগ করা যায়। শীতের ফ্যাশানে এখন পুলওভারের চাহিদা বেড়েছে। সঙ্গে রয়েছে বাহারি সোয়েটার, লং জ্যাকেট, মাফলারের ব্যবহারও। বছরের এই কয়েকটা দিনই আপনি শীতবস্ত্র নিয়ে ফ্যাশানে মেতে উঠতে পারেন। কিন্তু দীর্ঘদিন এই পোশাকগুলো আলমারি বন্ধ হয়ে থাকায় দুর্গন্ধ হওয়ার পাশাপাশি রোঁয়া উঠতে থাকে। তাই কোন উপায়ে শীতবস্ত্রের যত্ন নেবেন  রইল তারই টিপস। 

আলমারি থেকেই সরাসরি শীতবস্ত্র ব্যবহার করবেন না। একটু রোদে দিন। শীতবস্ত্র রোদে দিলে পোশাক জীবাণু মুক্ত হয়ে যায়। সারা বছর যেহেতু ন্যাপথলিন দেওয়া থাকে জামাকাপড়ে, তাই দুর্গন্ধ ছাড়ে পোশাক থেকে। রোদে শীতবস্ত্র দিলে ন্যাপথলিনের গন্ধও দূর হয়ে যায় এবং অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও তা ভোগাবে না। শীতবস্ত্র রোদে দিয়ে পড়লে সেটা ভাল। কিন্তু শীতবস্ত্র কেচে সেটা কড়া রোদে দেওয়া একদম উচিত নয়। শীতবস্ত্র কেচে নিয়ে শুকনো করা জরুরি। কিন্তু তার জন্য কড়া রোদে সোয়েটার, মাফলার ইত্যাদি শুকনো করতে দেবেন না। কড়া রোদে জামাকাপড় শুকনো করতে দিলে রঙ নষ্ট হয়ে যায়।

শীতে পরার জামাকাপড় কেচে ভুলেও আয়রন করবেন না। সোয়েটারের উপর আয়রন চাপালে সেটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আয়রনের গরমের কারণে উলের ক্ষতি হয় ও কুঁচকে যায়। তাই এই ভুল করার আগে সাবধান। 

উলের পোশাক কাচার সময় কিছু নিয়ম মেনে চলুন। গরম জল কখনই ব্যবহার করবেন না। সব সময় ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন। গরম জলে উলের পোশাক কাচলে তার নমনীয়তা নষ্ট হয়ে যাবে। পাশাপাশি ঘন ঘন শীতবস্ত্র কাচার কোনও প্রয়োজন নেই। এতে উল দীর্ঘদিন ভাল থাকে। শীতবস্ত্র কাচার জন্য মাইল্ড ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন। শীতবস্ত্রের জন্য আলাদা ডিটারজেন্ট পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে আপনি শ্যাম্পু দিয়েও শীতবস্ত্র কেচে নিতে পারেন। আপনি ড্রাই ক্লিন করাতে পারেন যদিও তা খরচ সাপেক্ষ।