আজকাল ওয়েবডেস্ক : ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে শ্রীলঙ্কার জাতীয় পিপলস পাওয়ার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। যার ফলে প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়কের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন হতে চলেছে। এই বিজয় শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক দিক থেকে একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তন। সাধারণ মানুষ দিশানায়কের সংস্কার, দুর্নীতি বিরোধী নীতি এবং প্রগতিশীল পরিবর্তনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

 

এটি শ্রীলঙ্কার পুরাতন রাজনৈতিক দলগুলির জন্য একটি বড় পরাজয়। শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে কয়েক দশক ধরে এরা আধিপত্য বিস্তার করেছিল। এই নির্বাচনের ফলাফলে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি এবং বৈদেশিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলে দিল। দিশানায়ক, যিনি সামাজিক ন্যায় এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের নেতা হিসেবে পরিচিত, এখন একটি কঠিন পথ মোকাবিলা করবেন। সেখানে তাকে শ্রীলঙ্কাকে পুনর্গঠন এবং পুনরুদ্ধারের দিকে নিয়ে যেতে হবে।

 

এই নির্বাচনের ফলাফল জনগণের ক্ষোভ এবং পুরানো রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবেই সামনে উঠে এসেছে। শ্রীলঙ্কার জনগণ তাদের নেতাদের কাছে আরও বেশি দায়িত্ববান হতে চাইছে। ১৯৬ টি আসনের মধ্যে ১৩৭ টি আসনে সরাসরি জয় পেয়েছে এনপিপি। তিনভাগের মধ্যে দুভাগই আসন জিতেছে তারা। ফলে আগামীদিনে তারা যেসব সিদ্ধান্ত নেবে তা দেশের পক্ষে ভাল হবেই বলেই মনে করছেন শ্রীলঙ্কার বাসিন্দারা।

 

দিশানায়ক এমন একজন রাজনীতিবিদ যার রক্তে রাজনীতি রয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। মোট ভোটের ৬২ শতাংশ ভোট পেয়েছে এনপিপি। এই ভোট দিশানায়ককে দেখেই দেওয়া হয়েছে প্রতিপক্ষের দলগুলি যে কোনও সুযোগ পায়নি তা এই ভোটের ফল থেকেই স্পষ্ট। এবার নতুন সরকার কীভাবে কাজ করবে সেদিকেও সকলের নজর রয়েছে।