শ্রেয়সী পাল: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য সরকার 'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার সুবিধার জন্য ট্যাব কিনতে ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করেছে। প্রত্যেক পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে সম্প্রতি এই টাকা 'ক্রেডিট' হওয়া শুরু হয়েছে। তারপর থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে উঠে আসছে একাধিক অভিযোগ। ট্যাব দুর্নীতি কাণ্ডে এবার বিহার যোগের সন্ধান মিলল মুর্শিদাবাদ জেলাতে। সালার থানার অন্তর্গত টিঁয়া শান্তি সুধা দাস বিদ্যামন্দিরের ১৫ জন ছাত্রছাত্রী ট্যাবের টাকা না পাওয়ার পর জানা গিয়েছে, তাদের জন্য বরাদ্দ হওয়ার টাকা বিহারের কিষাণগঞ্জের একাধিক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। এই ঘটনার পর অনেকেরই সন্দেহ ঝাড়খণ্ডের কুখ্যাত জামতারা গ্যাং –এর ওপর। তারা টাকা হাতানোর এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলোক দে জানিয়েছেন, স্কুলের প্রায় ৩২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী ট্যাবের টাকা পাওয়ার যোগ্য ছিল। অথচ এখনও পর্যন্ত ১৫ জন ছাত্রছাত্রী লিখিতভাবে জানিয়েছে তাদের অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার জন্য কোনও টাকা ঢোকেনি। এরপর তিনি জানান, এই প্রকল্পে সরকারি পোর্টালে যোগ্য ছাত্রছাত্রীদের নাম নথিভুক্ত হয়। তারপর সেখান থেকে সরাসরি ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার টাকা ঢোকে। এ ক্ষেত্রে স্কুলের কোনও ভূমিকা থাকে না। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ইতিমধ্যে গোটা ঘটনাটি লিখিত আকারে জানিয়ে সালার থানাতে একটি এফআইআর করে জানান প্রধান শিক্ষক অলোক দে। একইসঙ্গে জেলা শিক্ষা দপ্তরকেও গোটা ঘটনার কথা জানান তিনি।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ছাত্রছাত্রীরা কেন টাকা পায়নি তা জানার জন্য এসবিআই টিঁয়া শাখাতে যোগাযোগ করা হয়। ব্যাঙ্ক থেকে জানা যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, বরাদ্দ হওয়া টাকা বিহারের কিষাণগঞ্জের একাধিক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। এদিকে যে অ্যাকাউন্টগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের টাকা জমা পড়েছে তার কোনও নামের সঙ্গে ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নামের মিল নেই। অ্যাকাউন্টগুলো জুন মাসের কোনও একটি দিন একসঙ্গে খোলা হয়েছিল। অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার টাকা 'ক্রেডিট' হওয়ার পর ১৪ টি অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা একই দিনে তুলে নেওয়া হয়েছে।
