আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সম্প্রতি বেশ অনেকটা ওজন ঝরিয়েছেন বিদ্যা বালন। প্রদাহজনিত অসুখের কারণে ওজন বেড়েছিল 'মঞ্জুলিকা'-র। বিদ্যার মতো এই সমস্যায় ভুগেছেন সামান্থা রুথ প্রভুও। পেশীর প্রদাহজনিত সমস্যায় শরীর ফুলে গিয়েছিল দক্ষিণী নায়িকার৷ দুই অভিনেত্রীকেই ‘অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি’ ডায়েট মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর তারপরই এই বিশেষ ডায়েট নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কিন্তু কী এই ‘অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি’ ডায়েট? কীভাবেই বা এই পদ্ধতিতে ওজন কমানো যায়? জেনে নেওয়া যাক- 

আসলে বিভিন্ন উপায়ে আমাদের শরীরে ওজন বাড়তে পারে। যার মধ্যে একটি হল 'ইনফ্ল্যামেশন'। বাংলায় যাকে বলা হয় প্রদাহ। দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মের মধ্য দিয়ে গেলে শরীরে 'ইনফ্ল্যামেশন' বাড়ে। তখন ক্রমশ বাড়তে থাকে ওজন। প্রদাহ ‘অ্যাকিউট’ বা ‘ক্রনিক’ দু'ধরনের হতে পারে। মূলত দীর্ঘদিন খারাপ খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব, হজম প্রক্রিয়ায় গোলমাল, শরীরে টক্সিন জমে গেলে কিংবা মানসিক চাপ থেকেও প্রদাহ হতে পারে। 

ক্রনিক প্রদাহ হলে শরীরে ইনসুলিন ভালভাবে কাজ করে না। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত গ্লুকোজকে চর্বি হিসাবে সঞ্চয় করে। তখন কোনও সাধারণ ডায়েট মেনে ওজন কমানো সম্ভব হয় না। এই রকম পরিস্থিতিতে ‘অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি’ ডায়েট মানতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।

‘অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি’ ডায়েটে বেশি মাত্রায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই ডায়েট মানলে নিয়মিত চিয়া বীজ, তিল, সূর্যমুখীর বীজ, কাঠবাদাম খেতে হবে। যে কোনও ধরনের বেরি অর্থাৎ, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি খেতে পারেন। যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ব্রাউন রাইস সহ বিভিন্ন ধরনের দানাশস্যও খেতে পারেন। আমিষাশী প্রোটিনের জন্য চিকেন, টার্কি, পনির, টোফু খাওয়া যেতে পারে। তবে রেড মিট খাওয়া চলবে না। চিনি যতটা সম্ভব বাদ দিতে হবে। এছাড়াও খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে রাখতে হবে সবুজ শাকসব্জি ও ফল।

একইসঙ্গে ব্যায়ামে ফাঁকি দিলে চলবে না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকতে হবে শরীরে।