আজকাল ওয়েবডেস্ক: বনগাঁর পর শুটআউট‌‌ বসিরহাটে। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করা হল। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের সীমান্ত লাগোয়া নাকুয়াদহ গ্রামে। ঘটনার পর আততায়ীরা গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম আনন্দ সরকার (৪০)। তবে কী কারণে ওই যুবককে খুন করা হল, তা নিয়ে পুলিশ ধন্দে রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত আনন্দের বাড়ি বসিরহাটের নাকুয়াদহ গ্রামে। অতীতে তিনি ঘোজাডাঙা সীমান্তে আমদানি-রফতানির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে তিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েন। কয়েক বছর আগে চোরাচালানের অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল। কয়েক মাস জেল খাটার পরে ফের তিনি জামিনে মুক্ত হন। তারপর তিনি আবার ঘোজাডাঙা সীমান্তে আমদানি-রফতানির ব্যবসা শুরু করেন। 

সোমবার রাতে একদল আততায়ী আনন্দকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করার পর নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কয়েকজন যুবক তাঁকে ডাকতে বাড়িতে আসে। তিনি তাদের সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি থেকে চলে যান। তারপর মাঠের কাছে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তাঁকে গুলি করা হয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। 

গুলির শব্দ শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে এসে দেখেন, মাঠের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় আনন্দ পড়ে আছেন। খবর পেয়ে বসিরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলিবিদ্ধ ওই ব‍্যক্তিকে উদ্ধার করে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মৃত ব‍্যক্তির ময়নাতদন্ত হবে। তারপর তাঁর দেহ পরিবারের লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

অন‍্যদিকে,ঘটনার তদন্তে নেমে রাতেই পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। খুনের সূত্র পেতে নিহত ব‍্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও তদন্তকারীরা কথা বলেছেন। দুষ্কৃতীরা যাতে সীমান্ত পেরিয়ে কোনওভাবেই বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে না পারে, পুলিশ সেদিকে নজর রেখেছে।