আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই বিশেষত ভারতে বিবাহ একটি পবিত্র সম্পর্ক হিসেবে বিবেচিত হয়। দম্পতির জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোর মধ্যে এটি একটি। ভারতীয় প্রথায় বিয়েতে দুটি আত্মার মিলন ধর্মীয় নীতিতে পরিচালিত হয়ে থাকে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ায় এমন একটি প্রথা প্রচলিত রয়েছে, যেখানে পুরুষ পর্যটকদের সাময়িকভাবে বিবাহিত জীবনের অভিজ্ঞতা নিতে দেওয়া হয়। তবে এই প্রথা দেশটিতে বেআইনি। সেই দেশটির ভাষায় এই প্রথাটি ‘প্লেজার ম্যারেজ’ নামে পরিচিত। এই প্রথায় পর্যটকদের সঙ্গে স্থানীয় নারীদের একটি বিবাহ সম্পন্ন করানো হয় যা মাত্র টিকে থাকে কয়েক দিন। এই কয়েকদিনের বিবাহের জন্য লেনদেন হয় একটি বড় অঙ্কের অর্থের। ইন্দোনেশিয়ার নারীরা এই চুক্তিভিত্তিক বিবাহে জড়ান মূলত অর্থের বিনিময়ে।

 

 

বিয়ের পর, স্বামী-স্ত্রী গৃহস্থালি কাজ থেকে শুরু করে যৌন সম্পর্ক পর্যন্ত সমস্ত দায়িত্বই পালন করেন। সাধারণত, ইন্দোনেশিয়ায় ঘুরতে গিয়ে অনেক পর্যটকই এই প্লেজার ম্যারেজে অংশ নেন।। যতদিন তাঁরা সেখানে থাকেন ততদিন এই বিবাহ টিকে থাকে এবং সফর শেষ হওয়ার পর ডিভোর্স হয়ে যায় ওই দম্পতির। জানা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় মহিলারা তাঁদের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য এই ধরনের বিয়েতে অংশ নেন। মধ্যস্থতাকারীরা বিদেশি পর্যটকদের জন্য স্থানীয় নারীদের সঙ্গে এই ধরনের চুক্তির ব্যবস্থা করেন। 

 

 

স্থানীয় মহিলাদের বড় অঙ্কের বেতন এবং বিলাসবহুল জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই কাজে নেওয়া হয়ে থাকে। পর্যটক দেশ ছাড়ার আগে, তাঁরা একসঙ্গে সময় কাটান এবং তারপর একটি আইনি ডিভোর্স সম্পন্ন হয় দুই পক্ষের মধ্যে। তবে ইন্দোনেশিয়ার আইনে এই ধরনের চুক্তিভিত্তিক বিয়ে বেআইনি হলেও, নিয়মের অভাবে এটি একটি বিশাল শিল্পে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক পর্যটক ইন্দোনেশিয়ায় আসেন ‘ভাড়া’ করা স্ত্রী পাওয়ার জন্য। এই প্রথা পর্যটন এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে বাড়িয়ে তুললেও এর নৈতিক এবং আইনি দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।