আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইএসএলের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত কলিঙ্গতে ওড়িশাকে হারাতে পারেনি মোহনবাগান। এদিনও হল না। ৯০ মিনিট আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেও জয় পেলেন না কামিংসরা। গোটা ম্যাচে ১১টা কর্নার পেয়েছে মোহনবাগান। সেখানে ওড়িশা একটিও পায়নি। এই পরিসংখ্যানই বলে দেবে এদিন কতটা আক্রমণাত্মক খেলেছ মলিনা ব্রিগেড।  চোটের কারণে প্রথম একাদশে স্টুয়ার্ট ছিলেন না, তাঁর জায়গায় নেমেছিলেন পেত্রাতোস।

 

 

 

এদিন খেলার শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল মোহনবাগান। আশিস রাইয়ের ব্যাকপাস বিশাল কাইথ হাতে ধরলে বক্সের ভেতর ইনডিরেক্ট ফ্রি কিক দেন রেফারি। সেখান থেকেই হুগো বুমোসের শট ঢুকে যায় গোলে। পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় মোহনবাগান। কিন্তু মোহনবাগান আর গোলের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ওড়িশা ডিফেন্ডার মুর্তাজা ফল এবং গোলকিপার অমরিন্দর সিং। বাঁদিক থেকে যতবার লিস্টন উঠে এসে ক্রস বাড়িয়েছেন ডিফেন্স করে গেছেন ফল।

 

 

ফলে, বক্সে উঠে আসলেও ফিনিশ হচ্ছিল না। ঘিরে রাখা হয়েছিল সুযোগসন্ধানী ম্যাকলারেনকেও। বহু প্রতীক্ষিত গোল এল সেই কর্নার থেকেই। পেত্রাতোসের কর্ণারে মনবীরের জোরালো হেড অমরিন্দরের হাতে লেগে ঢুকে যায় গোলে। খেলার বাকি সময়টা আক্রমণ করে গেলেও গোল পায়নি কোনও পক্ষই।

 

 

তবে ওড়িশার প্রধান অস্ত্র রয় কৃষ্ণ প্রথম দিকে কয়েকবার ডিফেন্স চিরে বেরিয়ে গেলেও পরের দিকে তাঁকেও আটকে দিয়েছিল সবুজ মেরুন ডিফেন্স। প্রথমেই ব্যাক পাস হাতে না ধরলে এদিন তিন পয়েন্ট আসতেও পারত বাগানের কাছে। মাঝমাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা হলেন আপুইয়া। ওড়িশার বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানেই রইল মোহনবাগান।