আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরিচয় দিতেন আইআরএস কিংবা রাজস্ব দফতরের অফিসার হিসেবে। তারপর মিষ্টি মধুর কথা। সেই থেকে প্রেম। গড়ে তুলতেন ঘনিষ্ট সম্পর্ক। তারপর অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে, এই হুমকি দেওয়া হত। এরপর চলত ব্ল্যাকমেল করে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায়। এক, দু'জন নয়, এইভাবে ২৫ জন মহিলাকে নিজের শিকার বানায় ওই ভুয়ো অফিসার।
পুলিশ জানিয়েছে, সর্বেশ কুমাবত নামে ওই যুবক মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর বাসিন্দা। কখনও আইআরএস অফিসার আবার কখনও এনসিবি বা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অধিকর্তা হিসেবে পরিচয় দিত নিজেকে। তার শিকারের তালিকায় ছিল জয়পুরের তিন মহিলাও। তার মধ্যেই এক মহিলার সন্দেহ হয়। তিনি পুলিশে জানান গোটা বিষয়টি। এই মহিলার কাছে অবশ্য নিজেকে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জেনারেল ডিরেক্টর বলে পরিচয় দেয় অভিযুক্ত। পুলিশ ওই মহিলাকে নির্দেশ দেয় লোকটির সঙ্গে কথা চালিয়ে যাওয়ার। এরপর মহিলার সঙ্গে লোকটি জয়পুরে দেখা করতে আসে। মহিলাকে নিয়ে লোকটি হোটেলে উঠলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কিন্তু ধরল কী ভাবে প্রতারককে? জানা গিয়েছে, ওই ভুয়ো লোকটি সকলের সঙ্গে অনলাইনেই আলাপ জমাত। বেছে বেছে সরকারি কর্মচারি মহিলাদের টার্গেট করত সে। সর্বশেষ যে মহিলাটিকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে তাঁর নাম, কণিকা গোয়েল। এঁর কাছে নিজের পরিচয় দেয়, আইআরএস অফিসার বলে। এরপর কথাবার্তা চলাকালীন সে জানায়, ২০২০ সালের পাশ আউট। ঘটনাচক্রে, কণিকা গোয়েল একই বিভাগে কর্মরত হওয়ায় তিনি সব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চেনেন। তখনই দানা বাঁধে সন্দেহ। নিকটবর্তী বিদ্যাধরনগর থানায় অভিযোগ জানান কণিকা। তারপর পরিকল্পনা মতো কাজ করা হয়।
বিদ্যাধরনগর থানার ইনচার্জ রাকেশ খেয়ালিয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি অফিসার হওয়ার নাটক করে মেয়েদের ফাঁসাত। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সে অনেক মেয়ের সাথে চ্যাট করত। তার মোবাইল হিস্ট্রি খতিয়ে দেখা গিয়েছে, সে অন্তত ২৫ টিরও বেশি মেয়েকে ফাঁদে ফেলেছে, যার মধ্যে তিনজন মেয়ে জয়পুরের। শনিবার নয় অক্টোবর সে জয়পুরে একটি মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে এলে আজমির রোডের একটি হোটেলের ঘর থেকে অভিযুক্তকে ধরা হয়। তার ফোন থেকে প্রচুর মেয়ের সঙ্গে অশ্লীল চ্যাটও উদ্ধার হয়েছে।
