আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিটের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে লাগাতার ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী। ধর্ষণের পর বাড়িতেই তাকে আটকে রাখা হত। এমনকী ধর্ষণের ঘটনাটি বাইরে ফাঁস করলে পরিবারের সকলকে খুনের হুমকিও দেওয়া হত। কিশোরীর বিস্ফোরক অভিযোগের পর নামী কোচিং সেন্টারের দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে ২০২২ সালে কানপুরের এক কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিল কিশোরী। পুলিশকে নির্যাতিতার অভিযোগ, চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে সাহিল সিদ্দিকি নামের এক শিক্ষক তাঁর বাড়িতে পার্টিতে সকল ছাত্রছাত্রীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেদিন ফ্ল্যাটে গিয়ে কিশোরী দেখে, সে একাই রয়েছে। সেদিন প্রথম ঘরে ডেকে কিশোরীকে মদ্যপান করিয়ে ধর্ষণ করেন সাহিল। 

 

জানুয়ারি মাস থেকে একটানা তাঁর বাড়িতেই কিশোরীকে আটকে রেখেছিলেন সাহিল। প্রায়ই তাকে ধর্ষণ করতেন। যৌন নির্যাতনের ভিডিও তুলে রেখেছিলেন। বাইরে ফাঁস করলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার এবং পরিবারের সকলকে খুন করার হুমকি দিতেন তিনি। এর মাঝেই ওই ফ্ল্যাটে বিকাশ নামের আরও এক শিক্ষক ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ জানিয়েছে কিশোরী। 

 

পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি কানপুরের ওই কোচিং সেন্টারের অন্য এক পড়ুয়া সাহিলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগে শিক্ষকের অশালীন আচরণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই কিশোরী থানায় গিয়ে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে দুইজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।