আজকাল ওয়েবডেস্ক: কবর থেকে ভেসে আসছে আর্তনাদ। চিৎকার শুনেই ছুটে এলেন পথচলতি গ্রামবাসীরা। শুরু হয় মাটি খোঁড়াখুঁড়ি। মাটি খুঁড়তেই আঁতকে ওঠেন সকলে। কবরের মধ্যে বেঁচে আছেন তরুণী! কবর থেকে উঠেই সোজা থানায় ছুটলেন তিনি। এরপরই বিস্ফোরক অভিযোগ পুলিশের কাছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকে। তরুণী পেশায় একজন যোগা প্রশিক্ষক। তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, ২৩ অক্টোবর তাঁকে নগ্ন করে খুনের চেষ্টা করেছিলেন কয়েকজন। অভিযুক্তের মধ্যে বিন্দু নামের এক তরুণীও আছেন। বিন্দুর সন্দেহ ছিল, তাঁর স্বামীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত রয়েছেন যোগা প্রশিক্ষক। সন্দেহের বশেই তরুণীকে খুনের চেষ্টা করেন বিন্দু ও তাঁর বন্ধুরা।
তরুণী জানিয়েছেন, সেদিন একটি নির্জন এলাকায় তাঁকে নিয়ে গিয়ে নগ্ন করে মারধর শুরু করেন সকলে। এরপর শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করা হয়। এরপরই জ্ঞান হারানোর অভিনয় করেন তরুণী। অভিযুক্তদের মনে হয়, তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। তখনই প্রত্যন্ত এলাকায় তরুণীকে মাটির নীচে পুঁতে সকলে পালিয়ে যান। কিন্তু মাটির নীচেও শ্বাস নিয়ে বেঁচেছিলেন তিনি। কবর থেকে তাঁর চিৎকার শুনেই ছুটে এসে গ্রামবাসীরা উদ্ধার করেন।
কবর থেকে উঠে জামাকাপড় পরেই থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান তরুণী। এও জানান, খুনের চেষ্টার পর তাঁর সমস্ত গয়না, টাকা নিয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। এই ঘটনায় বিন্দু নামের তরুণী সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।
